ফিফার এ বছরের বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের মুকুট পরলেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। গত বছর সেরা তিনেও ছিলেন না লিওনেল মেসি। এবার লড়াইয়ে ফিরে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারও জিতে নিলেন আর্জেন্টাইন এ অধিনায়ক। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও ফেভারিট ভার্গিল ফন ডাইককে হারিয়ে আবারও ফিফার মুকুট পরলেন তিনি।
২০১৬ সালে ফিফার পুরস্কারটি নতুন করে চালু হওয়ার পর প্রথম দুইবার জিতেছিলেন রোনালদো, আর গতবার হাতে উঠেছিল লুকা মদরিচের। এবার সেটার স্বাদ নিলেন মেসি। জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে সাংবাদিক ও ভক্তদের ভোটে রোনালদো-ফন ডাইককে পেছনে ফেলেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে সোমবার মিলানের জমকালো অনুষ্ঠানে মেসির হাতে ওঠে ফিফার ষষ্ঠ বর্ষসেরার পুরস্কার।
গত মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের দৌড় থেমেছিল তার লিভারপুলের বিপক্ষে হেরে। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও মেসি হয়েছিলেন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ গোলদাতা। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১২ গোল করা এই আর্জেন্টাইন লা লিগাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। তার চমৎকার পারফরম্যান্সে বার্সেলোনা জিতেছিল লিগ শিরোপা।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউরোপের ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন মেসি। ৩৬ গোল করা মেসির সবচেয়ে কাছে থাকা কাইলিয়ান এমবাপে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ৩৩ বার।
যদিও এবারের ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে ফেভারিট ধরা হয়েছিল ফন ডাইককে। ডাচ ডিফেন্ডার উয়েফার বর্ষসেরার লড়াইয়ে এই মেসির সঙ্গে রোনালদোকে হারিয়েই প্রথমবার জিতেছিলেন পুরস্কারটি। একে লিভারপুরের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন, এর ওপর আবার উয়েফা নেশনস লিগে নেদারল্যান্ডসের ফাইনাল খেলার পথে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এরপরও ভোটারদের রায় গেছে মেসির পক্ষে।
রোনালদোও ছিলেন আলোচনায়। স্পেন থেকে ইতালিতে গিয়েও পারফরম্যান্সের ধারা সচল রেখেছেন তিনি। গত মৌসুমে জুভেন্টাসকে জিতিয়েছেন লিগ শিরোপা। অন্যদিকে জাতীয় দল পর্তুগালের উয়েফা নেশনস লিগ জয়ের পথে রেখেছিলেন কার্যকরী ভূমিকা।
গত বছর রোনালদো ও মোহাম্মদ সালাহকে হারিয়ে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মদরিচ। অন্যদিকে সেরা তিনে না থাকা মেসি এবার জিতে নিয়েছেন ফিফার শ্রেষ্ঠত্ব।
ফিফার বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ। পেপ গার্দিওলা ও মাউরিসিও পোচেত্তিনোকে পেছনে ফেলে জিতে নিয়েছেন পুরস্কারটি।