সিপ্লাস ডেস্ক: আগামী ৫ মার্চ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নৃশংস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাগর-রুনি। ১২ বছরেও তাদের খুনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টা দীর্ঘ ১২ বছরেও শেষ হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯৫ বার সময় নিয়েছে তদন্ত সংস্থা। কিন্তু এখনও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি, করেনি বা তারা চাপে আছেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক নেতারা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাগর-রুনি হত্যার ১২ বছর কেটে গেলেও এখনও তদন্ত চলছে আর ‘বিচার হবে’তে সীমাবদ্ধ তদন্তকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা। ৯৫ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন, এটি নজিরবিহীন ঘটনা। চাঞ্চল্যকর সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও আজ পর্যন্ত সাগর-রুনির খুনের কারণ জানা যায়নি। বিচার তো অনেক পরের বিষয়।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কথা জানান বক্তারা। তারা বলেন, ৫ মার্চ এই আলোচিত এবং নৃশংস্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন দাখিলের দিন। সেদিনও যদি প্রতিবেদন দেওয়া না হয়, তাহলে সারা দেশের সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এই প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স উইনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছিলেন।