সিপ্লাস ডেস্ক: এবার হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ৩১ মে। হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সভাশেষে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মাহবুব আলী জানান, ৭৫ ফ্লাইটে মোট ৩১ হাজার হজযাত্রী এবার সৌদি আরব যাবেন। তিনি বলেন, এ বছর হাজিদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, হজ প্রতিপালন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। হজ প্রতিপালনে ব্যতিক্রম ঘটলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এ বছর হজ যাত্রীরা যেন নিরাপদে যেতে পারে, ফ্লাইট সিডিউলসহ কোনো ধরনের ঝুঁকি ঝামেলা যাতে না হয় সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়, হাব, আটাবসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, করোনার কারণে ২০১৯ সালের পরে আর হজ হয় নাই। এ বছর আশার আলো আমরা দেখতে পারছি। তাই অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের এ কাজগুলো করতে হবে। আমরা ৯ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেই। কিন্তু এ বছর মাত্র এক মাস সময় পাচ্ছি। আগামী ৩১ মে থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হতে পারে আমরা সে রকম ধারণা করছি। এ সময়ের ভেতরে যাতে আলোচনা করে সব কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
আজকের সভায় আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডেডিকেটেড ফ্লাইট থাকবে ২ টি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিমানের মধ্যে গত বছরও হাজিদের নেওয়া হয়েছে। এ বছরও নেওয়া হবে। এ বছরও ৭৭৭ ডেডিকেটেড ফ্লাইট হিসেবে নেবো।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে সৌদি আরবের সঙ্গে হাব ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি, বিশেষ করে বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন করা। এজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আমাদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের এখানে ইমিগ্রেশন করার সর্বাত্মক সহযোগিতা তারা করেছেন। এ বছর যদি আমরা ফুল অপারেশনে যেতে পারি তাহলে তারা সহযোগিতা আরও বাড়াবে।
তিনি বলেন, হজ নিয়ে আমাদের যতো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেটা নেবো। ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, হাব, আটাবসহ সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করেছি। যেন শান্তিপূর্ণ হজ হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুইটা ডেডিকেটেড ফ্লাইট থাকবে, ৩১ মে থেকে ফ্লাইট শুরু হবে। এটা ঢাকা থেকে অনুমোদন দিয়েছে এখন সৌদি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেই হবে।
বিমান কতগুলো স্লট পেলো ও ভাড়া কত নির্ধারণ করা হলো জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানকে ৭৫ টি ফ্লাইট অপারেটর করতে হবে। ৭৫ টি ফ্লাইটে ৩১ হাজার হজ যাত্রি যাবে। বাকিগুলো সৌদি এয়ারলাইন্স নেবে।
ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ফুয়েল খরচ অনেক বেড়েছে। ডাবলেরও অধিক ফুয়েলের দাম বেড়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিমানের ভাড়া দেড় লাখ করে নেওয়া হবে। কিন্তু আমরা হাজিদের কথা চিন্তা করে বিমানের ক্ষতি হলেও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের জন্য এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ২০১৯ সালে ভাড়া ছিল এক লাখ ২৮ হাজার টাকা। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে যাতে মানুষের কোনো দুঃখ কষ্ট না হয়।