স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যার হুমকি দিয়েছে কামাল হোসেন নামে পাষন্ড এক স্বামী। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন নির্যাতিত গৃহবধূ হাসিনা বেগম। শুধু স্ত্রীকে নয়,শ্বাশুড়ী-শ্যালককেও মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার(৩১ আগস্ট) সকালে আকবরশাহ্ থানাধীন এলাকার সি-ব্লকের হাসপাতাল রোডে মারধরের ঘটনার অভিযোগ করেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সিপ্লাসটিম ঘটনা স্থলে গেলে,ঘটনার সত্যতা পায়।
নির্যাতিত গৃহবধূ হাসিনা বেগম সিপ্লাসকে বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৪ বছর। বিয়ের পর থেকে কোনদিন সুখ খুঁজে পাইনি। আমি গার্মেন্টেসে চাকুরী করে যা পাই সব সে কেড়ে নেয়। একটা টাকাও সে ইনকাম করেনা। তাকে বাসায় নেশা করতে বাঁধা দিলে আমাকে শারীরিক নির্যতান করে । ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর আমি ভাল ছিলাম। সে জেল থেকে বের হয়ে আবার নেশা করা ও নির্যাতন করে। চলতি বছরের ১৬ জুলাই সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে তার বখাটে স্বামীকে ডিভোর্স লেটার পাঠাই। সে তা গ্রহণ না করে উল্টা আমাকে মারধর করে।
নির্যাতিত গৃহবধূর ভাই আরিফ সিপ্লাসকে বলেন, আমার বাবা নেই। আমার বোন সবার বড়। কিন্তু সে বোনকে প্রতিনিয়ত নির্যাতান মেনে নিতে আর পারছিনা। সে আমাদের সবাইকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সে পুলিশের সোর্স হওয়ায় পুলিশও তার কথা শোনে। আমরা এখন কোথায় যাব কি করব বুঝতে পারছিনা। আমি নির্যতানের বিচার চাই।
নির্যাতিত গৃহবধূর মা সিপ্লাসকে বলেন, আমার মেয়ে বিয়ের পর থেকে সংসারে সুখ দেখিনি। প্রতিদিন আমার মেয়েকে টাকার জন্য জ্বালাতন করে। আমি আমার মেয়েকে নির্যাতনের বিচার চাই।
অভিযুক্ত কামাল হোসেন কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার হারাখাল এলাকার মধুর আলীর ছেলে। বর্তমানে আকবর শাহ থানাধীন এলাকার বিশ্ব কলোনী ই -ব্লকে থাকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোস্তাফিজুর রহমান সিপ্লাসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মারধরের বিষয়টি সঠিক বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি আরো তদন্ত করে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
প্রসঙ্গত: ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১১ নং দক্ষিন কাট্টলী ওয়ার্ডের মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার কাজী মো.খলিলুর রহমান সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করান।