সিপ্লাস ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলদের রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার বিক্ষোভকারী। ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠিত বিক্ষোভটিতে জীবিকা নির্বাহে ব্যয়বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি ইউক্রেনীয় সংঘাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোজোটের আগুনে ঘি ঢালার মতো অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীদের অনেকে। বিক্ষোভে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো শহর।
ট্রেড ইউনিয়নগুলো বলছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ৮০ হাজার। তবে পুলিশের হিসাবে এই সংখ্যা ৭০ হাজারের কাছাকাছি। শহর অচল করে ফেলার পাশাপাশি আন্দোলনের মুখে ব্রাসেলসের বিমানবন্ধরের ফ্লাইটগুলোও গণহারে বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলোও আন্দোলনে অংশ নেয় বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শহরের আশেপাশের সড়কগুলোতেও চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
জুন মাসে বেলজিয়ামে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশ ছুঁয়েছে, যা চার দশকের সর্বোচ্চ। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বিক্ষোভকারীরা বেতন বৃদ্ধি ও কর কমানোর দাবিও জানায়।
রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনে ন্যাটোর অস্ত্র সরবরাহের কারণে সংঘাতের প্রভাব অর্থনীতিকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে তুলে ধরেন আন্দোলনকারীদের অনেকে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের উচিত “অস্ত্রের পিছে ব্যয় না বাড়িয়ে বেতন বাড়ানো”। একইসঙ্গে “ন্যাটো বন্ধ করো” স্লোগানেও মুখরিত হয়ে উঠে বিক্ষোভ সমাবেশ।
ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে একইধরনের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার লন্ডনের রাস্তায় ট্রেড ইউনিয়নের হাজার হাজার সদস্য মিছিল নিয়ে বের হয়। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের অনেকে ন্যাটো ও তার সদস্যদের কার্যক্রমকে বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করে।
ইইউ ও ন্যাটো দুটো জোটের সদরদপ্তরই ব্রাসেলসে। মাত্র তিন মাস আগে, ব্রাসেলসে কিছু বিক্ষোভকারী ইউক্রেনের পতাকা নাড়িয়ে ইইউকে ‘পুতিনের তেল’ কেনা থেকে সরে আসার দাবি জানায়। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভবনগুলোর সামনেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে আন্দোলন হয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন ইউরোপীয় দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে এক বছরে ইইউ সরাসরি ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হারাতে পারে।