সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করতে অনড় বিএনপি। এর মধ্যে রাতেই তছনছ করে দেওয়া হলো দলটির সমাবেশ আয়োজনের জন্য সাজানো মঞ্চ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে সমাবেশস্থলের মঞ্চ ভেঙে খুলে নেওয়া হয় ব্যানার-ফেস্টুন। সমাবেশস্থলের প্রধান ফটকে সাজানো তোরণে লাগানো ব্যানারও খুলে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কিছু লোক মঞ্চের প্যান্ডেল, ব্যানার, তোরণে সাঁটানো ব্যানার খুলে নিয়ে গেছে। ভেঙে দিয়েছে সমাবেশ মঞ্চ।
এ বিষয়ে পুলিশের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাত সোয়া ২টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, সমাবেশ করতে দেবে না বলে পুলিশ মঞ্চ ভেঙে নিয়েছে। এরপরও আমরা আশাবাদী সমাবেশ করতে দিতে পুলিশ নমনীয় হবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশের তরফ থেকে একটি পজিটিভ কিছু আশা করছি।
পুলিশের কাছে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে বিএনপি চিঠি দিলেও রাত ৯টার দিকে একটি খবর ছড়ায়, সিলেটে বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতেই জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৈঠক শেষে সোমবার রাতেই বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে রেজিস্ট্রারি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ করার বিষয় নিশ্চিত করে কর্মসূচি সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম সিদ্দিকী ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ নেই। পূর্বঘোষিত সমাবেশ যথাসময়ে যথাস্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশ সফল করতে সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতার আশাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা বলেন, বিএনপি নেতারা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রেজিস্ট্রারি মাঠসহ নগরীর উন্মুক্ত কোনো স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে ঘরোয়াভাবে সমাবেশ করতে আপত্তি নেই বলেও তাদের জানানো হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বলেন, অনুমতি না থাকায় রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।