বোয়ালখালী প্রতিনিধি: বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়াতে আশুতোষ দত্তের সম্পত্তি নিজের কন্যাকে স্ত্রী উল্লেখ্য করে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বিআরডিবি হলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত বরুন বোসের ছেলে পলাশ বোস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমাদের মৌরশী সম্পত্তি রয়েছে। যা আমার বড়বাবা (দিদিমণির বাবা) আমুচিয়া ইউনিয়নের স্বর্গীয় আশুতোষ দত্তের সম্পত্তি হয়। তার একমাত্র কন্যা বাসন্তী বসু আমার দিদিমণি হন। উক্ত সম্পত্তি সমূহ তাদের নামে চূড়ান্ত প্রচার আছে। অথচ স্থানীয় চেয়ারম্যানের যোগসাজশে আমার দিদিমণি আশুতোষ দত্তের কন্যা হওয়া স্বত্ত্বেও তাকে স্ত্রী উল্লেখ করে ওই চক্র ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে আমাদের মৌরশী সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
আশুতোষ দত্ত তৎকালীন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি জমিদার ছিলেন। তার নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে রামেশ্বর শিব মন্দির ও দামোদর মন্দির। তিনি সমাজ হিতৈষী ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। অতীব দুঃখের বিষয়ে তাঁর মৃত্যুর পর তারই একমাত্র কন্যাকে কুচক্রমহল স্ত্রী উল্লেখ করে নিঃসন্তান দাবি করে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করেছেন। এতে আমরা অলি ওয়ারিশান মর্মাহত।
তিনি আরো বলেন, ওই চক্রটি আমাদের মৌরশী সম্পত্তি ভূয়া ওয়ারিশান দিয়ে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিগত ২৯/০১/২০২০ইং তারিখ দুটি নামজারি খতিয়ান (নামজারী খতিয়ান নং- ২২৬৯ ও ২২৭০) সৃজন করে এবং একই তারিখে বোয়ালখালী সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে ২৫৬ নং অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তারনামা রেজিষ্ট্রী করেন। বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত আমমোক্তারনামা ও সৃজিত নামজারী খতিয়ানের বিরুদ্ধে মাননীয় বোয়ালখালী সহকারি জজ আদালত পটিয়া চট্টগ্রামে অপর ১৬১/২০২০ মামলা দায়ের করেছি। যা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া ঐ চত্রের সৃজিত নামজারি খতিয়ানদ্বয় বাতিলের জন্য মাননীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোয়ালখালী চট্টগ্রাম বরাবের আপত্তি দাখিল করেছি। পরবর্তীতে ওই চক্রটি উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রির পাঁয়তারা করলে বিগত ৩১/০৩/২০২২ ইং তারিখে মাননীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে সৃজিত খতিয়ানওয়ের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখারও আবেদন করি।
এ প্রেক্ষিতে মাননীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি আমলে নিয়ে খতিয়ানদ্বয়ের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন।ওই চক্রের অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তারনামা ও সৃজিত খতিয়ান মূলে আমাদের মৌরশী সম্পত্তির হস্তান্তর, ব্যয়-বিক্রি, চুক্তিপত্র বন্ধকসহ কোনো প্রকার দলিল রেজিস্ট্রী না করার জন্য বোয়ালখালী সাব রেজিষ্ট্রারের বরাবরে আবেদন করেছি। সম্প্রতি জানতে পারি যে বোয়ালখালী সাব রেজিষ্ট্রার অন্যত্র বদলি হয়েছেন। এরই সুবাদে ওই চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারকে ম্যানেজ করে সত্য গোপন করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ওই বিরোধীয় সম্পত্তি বিক্রয় দলিল সৃষ্টি করে। ক্রেতাদের বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।
সাংবাদিকবৃন্দের মাধ্যমে বিষয়টি জনসম্মুখে তুলে ধরা ও সংশিষ্ট প্রশাসনের নিকট সুবিচার দাবী করছি।