সিপ্লাস ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রূপক রায়ের সই করা নির্দেশনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা বিস্তার রোধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন অফিস/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে অফিস/শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে বুধবার (২২ জুন) অন্য এক নির্দেশনায়, দেশের বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য চেয়েছে মাউশি। এতে বলা হয়, কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কতজন শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত রয়েছে তার তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ে ই-মেইল (director.mew@gmail.com) পাঠাতে হবে। অঞ্চলের আওতাধীন জেলা ও উপজেলার সব তথ্য একত্রিত করে কলেজ পর্যায়ের তথ্য আঞ্চলিক পরিচালক এবং স্কুল পর্যায়ের তথ্য আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের ই-মেইল থেকে পাঠাতে হবে। বিচ্ছিন্ন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা জেলা-উপজেলা থেকে তথ্য পাঠালে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরও বলা হয়, নির্ধারিত ছকে অঞ্চলের বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যা, নাম, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও নাম, পাঠদান চালানো সম্ভব, আংশিক সম্ভব নাকি সম্ভব না সে তথ্য, বন্যাকবলিত এলাকার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জেলা ও উপজেলার নাম উল্লেখ করে ই-মেইলের মাধ্যমে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-উপজেলা বা জেলা থেকে পাঠানো তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত করা হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। পরে ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানো হয়।
এরমধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু সম্প্রতি আবারও আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ সময় ১ হাজার ৩১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৩২ শতাংশে।