সিপ্লাস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানাতে যচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইডালিয়া। ঘূর্ণিঝড়টি এখন শক্তিশালী ৪ নম্বর ক্যাটাগরিতে পরিণত হয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ মাইল। দেশটির জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্দ্র অনুসারে ইডালিয়া এখন সিডার কী থেকে প্রায় ৬০ মাইল পশ্চিমে ও তালাহাসি থেকে ৯০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এর গতি পথ ফ্লোরিডার বিগ বেন্ডের দিকে।
এরই মধ্যে সেখানের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল (২৯ আগস্ট) ঘূর্ণিঝড়টির ছিল ৪ ক্যাটাগরির।
ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড উপকূলে পৌঁছানোর আগে ইডালিয়া আরও শক্তিশালী হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে হারিকেন সেন্টার।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে শক্তিশালী আকার ধারণ করেছে। ক্যাটাগরি-১ ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ৭৫ মাইল। অন্যদিকে ক্যাটাগরি-৪ ঘূর্ণিঝড়ের গতি থাকে ঘণ্টায় ১৩০ মাইল পর্যন্ত।
এর আগে এনএইচসি জানায়, প্রায় ৩২ লাখ মানুষ বাস করা টাম্পা বে এলাকায় ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে। পানির উচ্চতা আট থেকে ১২ ফুট হতে পারে। ফ্লোরিডার অন্য এলাকা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলেও বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে এনএইচসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার পর ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস কেন্দ্রীয় ত্রাণ সহায়তা সমন্বয়ের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
তারও আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিস্যান্টিস বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেন, ইডালিয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বড় প্রভাব’ ফেলতে পারে। তাই আপনাদের যা করার আছে, করুন। জনগণকে উপকূলীয় এলাকা ছেড়ে উঁচু ভূমিতে চলে যাওয়ারও পরামর্শ দেন গভর্নর।
এদিকে ফ্লোরিডার দিকে ছুটে যাওয়ার পথে ইডালিয়ার প্রভাবে কিউবার সবচেয়ে পশ্চিমাংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই এলাকায় তামাক উৎপাদিত হয়ে থাকে। মাত্র একবছর আগে আঘাত হানা ইয়ান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি এলাকাটি। ঘূর্ণিঝড়টিতে অন্তত ১৫০ জন প্রাণ হারিয়েছিল।