রামু প্রতিনিধি: অনর্গল আসছে বার্মিজ অবৈধ গরু। থেমে নেই নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র অভিযান। রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নতুন তিতার পাড়া নামক জায়গা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি কর্তৃক মালিকবিহীন ৪টি বার্মিজ গরু উদ্ধার।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের সময় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির বিশেষ টহল টীম নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন নিয়মিত অভিযানে এসব বার্মিজ গরু আটক করে।
সম্প্রতিককালে রামু – নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা এসব অবৈধ গরু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসছে। অনুসন্ধানে জানা যায়- চোরাচালান কারবারীরা এসব বার্মিজ গরু পাহাড়ী পথ অতিক্রম রামুর গর্জনিয়া বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসলেই মিলে বৈধতা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৪ টার সময় রামুর গর্জনিয়া হয়ে কাউয়ারখোপ মইষখুম দিয়ে প্রায় ১৫০টি বার্মিজ গরু নিরাপদে এসেছে। এসব বার্মিজ গরু গর্জনিয়া বাজার থেকে রশিদ কেটে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করেছে বলে জানা যায়।
অভিযোগ রয়েছে অবৈধ বার্মিজ গরুর চালান বাজারের কয়েক কিলোমিটার দুরে থাকাকালীন হাতে চলে আসে গরু ক্রয়ের বৈধ রশিদ! এসব রশিদে প্রতি গরুতে গুনতে হয় ১০০০-২০০০. টাকা। জানা যায়, গর্জনিয়া বাজার ইজারাদারে ইজারাদার আব্দুর রহিম, হামিদুল হক সহ আরও ২জন শেয়ারদার।
এ ব্যাপারে ইজারাদারদের বক্তব্য জানতে চাইলে, তারা বলেন অবৈধ বার্মিজ গরুতে তারা কোন প্রকার রশিদ দেননি। তারা বলেন বাজারে গরু আসলে তাতে রশিদ দেওয়ার বৈধতা তাদের আছে। সেক্ষেত্রে বার্মিজ আর বাংলাদেশী গরু চিহ্নিত করার কোন যন্ত্রাংশ তাদের নেই বলেও জানান। কিছু প্রতিপক্ষের লোকজন এসব কথাবার্তা বলে তাদের সুনাম নষ্ট করছে।
এদিকে অবৈধ গরু পাচাররোধে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি দিন রাত তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি।
তবে স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির মিয়ানমারের গরুর বিরুদ্ধে অভিযান তেমন দৃশ্যমান নয় বলে জানান স্থানীয়রা। জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা বলেন পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে বার্মিজ গরু রোধে। এরপরও পাহাড়ী ও ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা দিয়ে বার্মিজ গরু এপারে আসছে। এরপরও রামু থানার নির্দেশে গর্জনিয়া পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে।