রামু প্রতিনিধি: বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১ টার সময় রামু উপজেলার ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া ৮নং ওয়ার্ড এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী রুমা আক্তার,রেহানা পারভীন, ও আরও কয়েকজন দাবী করে বলেন ,তারা পারিবারিকভাবে সবাই একত্রিত হয়েছে বহু বছর পর। আত্মীয় স্বজন সবায় একত্রিত হওয়ায় তাদের বসতভিটায় ওবাইদুল হকের খতিয়ানী জায়গায় পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন করছিল। পিকনিক আয়োজনের রান্নাবান্না শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে হঠাৎ করে রামু থানার তদন্ত ওসি অরুপ কুমার চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স সহ পিকনিক স্থলে এসে বাধা দেয়। পুলিশের বাধাদানের কারণে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাটি চার্জ করে ৪ জন মহিলাকে পুলিশের গাড়িতে তুল নিয়ে যেতে চাইলে ওবাইদুল হক গংদের সাথে পুলিশের বাড়াবাড়ি হয়। ঐ সময় পুলিশ ৪ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মহিলারা হলঃ রিজিয়া (৩৪) স্বামী- মনজুর আহমেদ, রাজিয়া (৩৮) স্বামী- ইয়াছিন, সাবেকুন্নাহার (৩৬) স্বামী- তবারক, কহিনুর বেগম ( ৩৯ ) স্বামী- অজ্ঞাত। এসময় সেখান অবস্থানরত বেস কয়েকজন মহিলাদের গায়ে পুলিশ হাত তুলে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া।
বিকেলে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা গেছে একজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ,পুলিশ বেআইনিভাবে এখানে মহিলাদের উপর হামলা করেছে। ৪ জন মহিলাকে পুলিশ পিটিয়ে থানায় নিয়ে গেছে। এবং কয়েকজন মহিলাকে পুলিশ আহত করেছে, এটি খুবই মর্মান্তিক। স্বাধীন দেশে এমন পরিস্থিতি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না।
ভুক্তভোগী আব্দুল হক অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের সাথে ষড়যন্ত্র করছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তারা তাদের পারিবারিক পিকনিকে হঠাৎ করে পুলিশ হানা দেয়। এসময় তাদের পারিবারিক অনেক মেয়েদের পিটুনি দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে যায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদেরকে থানা হাজতে আটক রেখেছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন অন্যায়ভাবে তাদেরকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে তাদেরকে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা ও সুস্থভাবে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান চান।
এদিকে পুলিশ হয়রানি ও ৪ জন মহিলাকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে অভিযোগ করার জন্য রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মোস্তার কাছে অভিযোগ নিয়ে গেছে ভুক্তভোগী ২০-২৫ জন নারী। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা রামু উপজেলা চত্বরে প্রায় কয়েক ঘন্টা অপেক্ষামান ছিল।
এ ব্যাপারে রামু তদন্ত ওসি অরুণ কুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু মানুষ সেখানে জায়গা দখলের উদ্যেশ্যে অবস্থান করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে, পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে খারাপ ভাষায় পুলিশ কে গালি দেয় এবং ইট পার্কেল নিক্ষেপ করেন। এমন অবস্থায় শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে। পুলিশ সেখানে কাউকে হামলা কিংবা আহত করেনি বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
এদিকে রামুর সচেতন মহল মনে করছেন পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের ভিতর কিছু প্রভাবশালী মহল দেয়াল সৃষ্টি করছে। এসকল কাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে নিরপেক্ষতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান করেছেন।