রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম রাউজানে ভোররাতে ৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের বাদল মাস্টারের বাড়িতে এই চুরি ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ রাউজানে ২০ টি গরু চুরি হয়েছে। এরমধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৫টি গরু।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজন মল্লিক সিপ্লাস টিভি কে জানান, চোরের দল ভোররাতে হানা দিয়ে এলাকার জগবন্ধু দে ছেলে রাখাল দের একটি গাভী, দুইটি বাছুর ও প্রবাসী দোলন মজুমদারের স্ত্রী কণা মজুমদারের একটি গাভী, একটি বাছুর চুরি হয়ে যায়। আমাদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিনের পরামর্শে আমি এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করেছি। গতরাত ২টা পর্যন্ত পাহারায় ছিলাম।
চুরি হয়ে যাওয়া গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিক রাখাল দের ভাই গোপাল কৃষ্ণ দে বলেন, রাতে প্রায় ২টার সময় আমরা ঘুমায়ে পড়ি ।সকালে উঠে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি গোয়ালঘরে কোন গরু নেই। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন হদিস পাননি।
গরু চুরির ঘটনায় খামারী ও গৃহস্থদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২০ টি গরু চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালি বাড়ি হতে নাজিম উদ্দিনের ২ লাখ টাকা দামের দুটি, বিশ্বনাথ ও রঞ্জিত মাস্টারের ৩ তিন লাখ টাকা দামের ৩ টি এবং চুন্নু নাথের ১ লাখ টাকা ১ টি, ৯ ফেব্রুয়ারি গরীবুল্লাহ পাড়ার মো. বাবুলের ২টি গরু, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভোরে উরকিরচর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে ইউসুফ আলী গুন্নুর ৪টি, পশ্চিম গুজরার সরকার পাড়ার সাগর সরকারে ৩ টি গরু চুরি হয়।
এরমধ্যে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়ার মো. বাবুলের ২টি এবং পশ্চিম গুজরা সরকার পাড়ার সাগর সরকারের ৩টি গরু উদ্ধার হলেও বাকী ১৫টি গরুর এখনও কোন হদিস পাওয়া যায় নি।
রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই অজয় দেব জানান, গরু চুরির ঘটনায় আমাদের কেউ অভিযোগ করে নি। তবুও পুলিশ রাতে নিয়মিত টহল রয়েছে। ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ ছাড়া কোন গরুর গাড়ি আমরা পরিবহন করতে দিয় না। এরমধ্যে চুরি হয়ে যাওয়া কিছু গরু উদ্ধার করে আমরা মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছি।