নিজস্ব প্রতিবেদক: আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা প্রীয়তোষ মজুমদার নামে এক ভদ্রলোক কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম শহরে বিশেষ কৌশলে পাচারকালে তার ব্যাগ থেকে তল্লাশি করে ৩টি মোয়ার প্যাকেট থেকে মোট ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব ৭। যার আনুমানিক মূল্য ৩৬ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তার প্রিয়তোষ মজুমদার, আনোয়ারা থানার মধ্যম বারখাইন এলাকার মানিক মজুমদারের ছেলে।
গোপন খবরের ভিত্তিতে রবিবার (২১ মে) বিকালে কর্ণফুলী থানাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে চেক পোষ্ট বসিয়ে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় ঐ মাদক ব্যবসায়ীকেও আটক করে র্যাব।
সোমবার (২২ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার।
নুরুল আবছার জানান, মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা নিয়ে বাস যোগে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (২১ মে) বিকেল পাচঁটার দিকে কর্ণফুলী পাকা রাস্তা এলাকায় বিশেষ তল্লাশী চৌকি বসানো হয়।
এ সময় শহরের দিকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসকে থামার সংকেত দিলে প্রিয়তোষ বাস থেকে নেমে কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, র্যাব সদস্যরা প্রিয়তোষের ব্যাগ তল্লাশি শুরু করে। এ সময় ব্যাগের মধ্যে সংরক্ষিত তিন প্যাকেট মুড়ির মোয়ার ওজন দেখে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে একটি মোয়া ভেঙে দেখা যায় তার ভেতরে পলিথিন ও স্কচটেপ দ্বারা বিশেষ পদ্ধতিতে ইয়াবা রয়েছে। তার কাছে তিনটি মুড়ির মোয়ার প্যাকেটে ২৭ টি মোয়ার ভিতরে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রিয়তোষ দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ লাখের বেশি মানুষ বলে ইয়াবা সেবন করে। যার বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। আর এই মাদকের কারণে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে অবক্ষয়, তরুণ সমাজের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে নৈতিক মূল্যেবোধ, ভেঙ্গে যাচ্ছে পারিবারিক বন্ধন, পরিবার ও সমাজে তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। মাদকের এই করালগ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে সচেতনতার পাশাপাশি আইন প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই, এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।