মসলার গুঁড়ায় ক্ষতিকর রং-রাসায়নিক; বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলাসহ আটক ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজার থেকে খোলা কিংবা প্যাকেটজাত যেসব গুঁড়া মসলা আমরা কিনে রান্না করে খাচ্ছি তাতে কি পরিমাণ ভেজাল এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে আমরা কেউ জানিনা। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গুঁড়া মসলার সাথে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে বিক্রি করে আসছে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মসলার সাথে ইটের গুঁড়া, ধানের কুড়া, কাঠের ভূষিও মেশানোর অভিযোগ আছে।

নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকায় এমন একটা ভেজাল মসলা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল মসলা তৈরি করে বাজারজাত করার অপরাধে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা ও ক্ষতিকর রং জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে চাক্তাই এলাকায় জসিমের ক্রাশিং মিলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় ভেজাল রং মেশানো প্রায় ছয়শ’ কেজি হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুঁড়া এবং ১২ কেজি অবৈধ রং ও রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধার করার পাশাপাশি মিলের মালিক জসিম উদ্দীনসহ দশজনকে আটক করা হয়।

বুধবার (২৪ মে) গণনমাধ্যামে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো.নুরুল আবছার।

আটকরা হলেন, মিল মালিক মো. জসিম উদ্দিন (৪০), মো. শরীফ হোসেন (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৩৬), মো. জিলানী (২০), মো. সুজন (১৯), মো. সাইদুল (২০), আবদুল কাদের (৩৮), মো. সজল (৪৩), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮) এবং মো. কামরুল হাসান (২৫)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের মশলার সাথে বিভিন্ন রং ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ভেজাল মশলা তৈরি করে আসছিল তারা। এসব ভেজাল মশলা চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে আসছিলো পাইকারদের মাধ্যমে।

মূলত, মসলার রং চকচকে করার জন্য, মরিচের গুঁড়োর ঝাল বাড়ানোর জন্য, হলুদের রং গাঢ় করার জন্য এসব বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছে মুনাফালোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব ভেজাল মসলায় তৈরি খাদ্যদ্রব্য ক্যান্স্যার, কিডনিসহ লিভারের নানা রোগ সৃষ্টির জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top