মক্কায় বাংলাদেশি হজ এজেন্সির মালিক ও ছেলে গ্রেফতার

সৌদি আরব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ইউরো আহসানিয়া কোবা গুরুপ হজ এজেন্সির মালিক ও তার ছেলেকে সৌদি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এজেন্সি বাড়ি ভাড়ার ১৫% ভ্যাট সাশ্রয় করার জন্য অনলাইন চুক্তিতে ভাড়া দেখায় খুবই কম। ভাড়ার বেশির ভাগ তারা নগদ পরিশোধ করে। এতে সৌদি বাড়ির মালিকও লাভবান হয় কিন্তু সৌদি সরকার ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হয়। এজেন্সি মালিক সৌদি একটি ব্যাংক থেকে নগদ ২ লাখ  রিয়াল উত্তোলন করে। এর পরই পুলিশ এর বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয় সঠিক উওর না দেওয়ার কারণে মক্কার পুলিশ তাদের কে গ্রেফতার করে।

বিজি ৩০০৫ নম্বর ফ্লাইটে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় পাঠানো হয়। এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের যে হোটেলের ঠিকানায় লেখা হয়েছে সে হোটেলে তাদের না উঠিয়ে মক্কার হেরাম শরিফ থেকে দুরে নিয়ে বিভিন্ন  হোটেলে তাদের উঠানো হয়। ফলে হাজীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।এ ছাড়াও হাজিদের কে রিসিভ করার জন্য এজেন্সির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ফলে হাজিদের জন্য নির্ধারিত হোটেল খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন মক্কা হজ অফিস। ভিসা অনুসারে হোটেল না হওয়ায় তাদের লাগেজ হোটেলে পৌঁছাতে সমস্যা হয়। হজ মিশনের চেষ্টায় বিষয়টি সমাধান হলেও বির্বতকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা জন্য তাদের কে শোকজ করে।

এজেন্সিগুলো হচ্ছে,(১) আল কাশেম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস,(২) ইউরো বেঙ্গল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজম ,(৩) ইউরোপা ট্রাভেলস, (৪) কে আই ট্রাভেলস, (৫) এল আর ট্রাভেলস, (৬) এন জে ফাউন্ডেশন এন্ড হজ মিশন, (৭) শাকের ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, (৮) শঞ্জুরি ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস।

অনিয়মের অভিযুক্ত এজেন্সি গুলোর প্রায় ৭৫০ জন হজ্ব যাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জন সৌদি আরবের মক্কা নগরীর বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করলেও বাকি ৪০০ জনের কি অবস্থা হজ্বে আসতে পারবে কি না, এ ব্যাপারে মক্কা বাংলাদেশ হজ্ব কাউন্সিল মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম  দৈনিক আমাদের সময়’কে জানান বাকি হাজ্বীরা আসতে পারবে, এ বিষয় ধর্মমন্ত্রণালয় অবগত রয়েছেন আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এসব হজ্ব যাত্রীদের আনা যায়, তবে তাদের অন্য এজেন্সির মাধ্যমে আসার সুযোগ রয়েছে।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top