বোমা ফাটিয়ে জুয়েলারি দোকান লুট, আহত দোকান মালিকের মৃত্যু

অর্জুন চন্দ্র বাদুরী।
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীর জমাদার বাজারে দিনদুপুরে ডাকাতদের হামলায় আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়ি টানা ১১ দিন পর গতকাল শনিবার রাত ২ টায় চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গত ৩০ অক্টোবর সোনাগাজীর জমাদার বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাকে অজ্ঞাত ডাকাত দল কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়িকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় জটিল অপরারেশনের পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।

অর্জুন ভাদুড়ির ভাতিজা মানিক ভাদুড়ি জানায়, চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারন করে। শুক্রবার বিকালে কিডনি ডায়ালেসিস করার পর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে রাত ২ টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

গত ৩০ অক্টোবর জমাদ্দার বাজারে ডাকাতদের বোমা বিস্ফোরণে বাজারের পথচারী লেদু মিয়াসহ চারজন আহত হন। মুখোশধারী ডাকাতরা অর্জুন জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন আহত দোকানমালিক অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়ি আত্মীয় মনোহর দাস ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ছয়-সাতজনের ডাকাত দল দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে জমাদার বাজারের অর্জুন চন্দ্র বাদুরীর দোকানের সামনে আসে। এ সময় সড়কে বেশ কয়েকটি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা অর্জুন চন্দ্রকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দোকানে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করে। বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অর্জুনের মাথায় ও হাতে আঘাত করে দোকানে ভাঙচুর চালায়। চলে যাওয়ার সময় ডাকাতেরা আবারও বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোটারসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, দুটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা ছয়জন সশস্ত্র ডাকাত ছিল।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, কীভাবে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এবং কারা ঘটিয়েছে, তার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের কাজ চলছে। সন্দেহজনক ৩ জনকে আটক করা হয়েছ্। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।