দীর্ঘ ৫ বৎসর আন্দোলনের পর অবশেষে আগামী ২৮শে অক্টোবর ১৯ইং তারিখে চালু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত ও প্রত্যাশিত লাল সবুজের পতাকাবাহী ফ্লাইট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মদিনা চট্টগ্রাম ঢাকা বিমান সার্ভিস।
গত সপ্তাহে বিমানের নতুন বিমান ৭৮৭-৮ড্রীমলাইনার সংযোজন হয়ার পর ১৭ই সেপ্টেম্বর চুড়ান্ত ভাবে সিডিউল ঘোষনা করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ।
স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে মদিনা চট্টগ্রাম ঢাকা নতুন রুটে বুকিং দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের ভীড় করতে দেখা যায়। অনেক প্রবাসী বুকিংও দিয়েছে।কিন্তু চুড়ান্তভাবে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা যায় সিডিউলে সুভংকরের ফাকি।সাধারনত জিদ্দা থেকে ঢাকা বা চট্টগ্রামের যাত্রীদের বুকিংএ ব্যাগেজ দেওয়া হয় ৫০কেজি এবং হ্যান্ড ব্যাগেজে দেওয়া হয় ১০কেজি। এ ছাড়াও একজন যাত্রী ১০০ডলার বা ৩৭১ রিয়াল দিয়ে আরও অতিরিক্ত ২৩কেজির একটি ব্যাগেজ নিতে পারেন। অথচ মদিনার ফ্লাইটের সিডিউলে একজন যাত্রী ব্যাগেজ পাবেন ২০ কেজি এবং হ্যান্ড ব্যাগেজ পাবেন ১০ কেজি।যা মদিনা প্রবাসীদের জন্য এক ধরনের প্রতারনার সামিল।পৃথিবীর বাঘা বাঘা এয়ারলাইন্স যেখানে মদিনা ঢাকা মদিনা চট্টগ্রামের ভাড়া নেন ১৬০০রিয়াল থেকে ১৮০০রিয়ালের মধ্যে,সেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেন ২২৫০ থেকে ২৫০০রিয়াল পর্যন্ত।দাম্মাম ঢাকা রুটে যাত্রীরা ব্যাগেজ পান ৪৫কেজি হাতে ১০কেজি, যেখানে বিমানের ভাড়া প্রায় তিন ভাগের একভাগ কম। অথচ মদিনার নতুন রুটে অস্বাভাবিক এই ষড়যন্ত্র মদিনার প্রায় ৪ লক্ষ প্রবাসী কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেননা।আমরা দীর্ঘ দিন যাবত লক্ষ্য করে আসতেছি যে, বিমানের কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারনে মদিনা থেকে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্বেও অনেক দিন থেকে মদিনা থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে পারেনি।
এখন মদিনা প্রবাসীরা মনে করছে, ২০ কেজি ব্যাগেজ পরিবর্তন করে ৫০কেজিতে উন্নিত না করিলে কোন যাত্রী এত চড়া দাম দিয়ে বিমানে ভ্রমন করিবেননা। তখন অসাধু কর্মকর্তারা বলিবে মদিনায় যাত্রী নাই,সুতরাং এই রুট বন্ধ করিয়া দাও। মদিনার হাজার হাজার প্রবাসীর প্রানের দাবী মদিনা থেকে সপ্তাহে যে ৪ টি ফ্লাইটের ঘোষনা দেওয়া হয়েছে তা যেন বহাল থাকে তার জন্য ২০কেজি ব্যাগেজের পরিবর্তে ৫০কেজি ব্যাগেজের ব্যবস্থা করা হউক। সাথে জিদ্দার মতো ১০০ডলারের বিনিময়ে ২৩কেজির একটি ব্যাগেজের ব্যবস্থা করা হউক।পৃথিবীর দেশে দেশে বিমানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।