বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে দফায় দফায় মারামারি

ছবি: সংগৃহীত
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

সিপ্লাস ডেস্ক: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ মারামারির ঘটনায় সমাবেশে অনেকটা ছন্দপতন ঘটে।

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা ও বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য কমানোর দাবিতে শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশ শুরুর আগে প্রথমে দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে হোটেল শাংরি-লা-ইন এর সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এরপর দ্বিতীয় দফায় বিকেল পৌনে ৩টায় মঞ্চে বিএনপির নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এমন সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ মারামারিতে জড়ায়। মারামারি থামাতে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। দীর্ঘসময় চেষ্টা করেও তারা মারামারি থামাতে পারেননি।

এরপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ছাত্রদলের সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। বক্তব্য দেওয়ার সময় মাইকে মারামারি থামানোর কথা বলেন তিনি। পরে দীর্ঘ চেষ্টায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটিনের ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।