বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে বিপন্ন এক প্রাণীকে অবমুক্ত করল বনবিভাগ। আজ সকাল ১১ টায় বাঁশখালী’র ঐতিহ্যবাহী ইকোপার্কের রেষ্ট হাউজ সংলগ্ন গবীর জঙ্গলে বিপন্ন এই প্রাণীটাকে অবমুক্ত করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিপন্ন প্রাণী গন্ধগোকুল কিংবা খাটাশকে অবমুক্ত করে দিয়েছে বাঁশখালী ইকোপার্কের রেঞ্জার আনিসুজ্জামান শেখ।
গতকাল রাত ৮ ঘটিকার সময় এই প্রাণীটাকে বাঁশখালী পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড ভাদালিয়া গ্রাম থেকে লোকজনের শিকলবন্দী রাখা ও মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরীর হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নিবার্হী অফিসারের নির্দেশক্রমে বাঁশখালী ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিপন্ন এই প্রাণীটা হচ্ছে গন্ধগোকুল আবার কেউ কেউ খাটাশ কিংবা লেনজা বলে থাকে। এটাকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলে বাঘখান্ডাঁস।
মূলত, বিপন্ন এই প্রাণীটা হচ্ছে নিশাচর মাংসাশী প্রাণী খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে ইদুর, শামুক, ডিম, মাছ, হাঁস, মুরগির বাচ্চা ইত্যাদি।
ইকোপার্কের রেঞ্জার আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, গতকাল রাতে বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসারের তথ্য মোতাবেক ভাদালিয়া গ্রাম থেকে শিকলবন্দি মুমূর্ষ অবস্থায় গন্ধগোকুল কিংবা খাটাশ উদ্ধার করে বাঁশখালী ইকোপার্কে অবমুক্ত করে দিচ্ছি। এক সময় এই প্রাণী গুলো পুরো দেশের বনাঞ্চলে কিংবা ঝোঁপঝাড়ে অহরহ ছিল। এখন প্রায় বিপন্ন হয়ে গেছে। এটার ওজন আনুমানিক সাত থেকে আট কেজি হতে পারে। বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশক্রমে এটা অবমুক্ত করা হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, বাঁশখালী পৌরসভার ভাদালিয়া এলাকার কয়েক জন লোক আমাকে ফোন করে বলল ওখানে নাকি একটা গন্ধগোকুল ধরল। পরে আমি সাথে সাথে বনবিভাগকে জিনিসটা জানাই তারা এটাকে উদ্ধার করে গভীর রাতে আমাদের হেফাজতে দিয়েছিল। এটা আমাদের দেশে খুবই বিপন্ন হয়ে গেছে। লোকালয়ে থাকলে মানুষ মেরে ও ফেলতে পারে। তাই আমি সকালে বনবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি এটা বংশ বিস্তারের সুবিধার্থে বাঁশখালী ইকোপার্কে অবমুক্ত করার জন্য।