বন্ধুর ডাকে সালানা জলসায় যান জাহিদ, সঙ্গে ছিলেন বাবা-চাচা
ছবি: সংগৃহীত
শেয়ার করুন
সিপ্লাস ডেস্ক: নাটোরের বড়াইগ্রামের নটাবাড়িয়া গ্রামের প্রকৌশলী জাহিদ হাসানের মা জরিনা বেগম তার একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তার আহাজারিতে এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম।
জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গীর মোড়ে আহমদিয়া জামাতের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসল্লিরা। পরে মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রকৌশলী জাহিদ হাসান (২৫) মারা যান।তিনি আহমদিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এবং বিক্ষোভকারীরা তাকে করতোয়া নদীর ধারে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি সালানা জলসার আহ্বায়ক আহমদ তবশের চৌধুরীর।তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, জাহিদ হাসান বা তারা কেউই আহমদিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত নন। পঞ্চগড়ের আহমদিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এক বন্ধুর দাওয়াতে জাহিদ এবং তার বাবা আবু বকর সিদ্দিক ও চাচা মহসিন আলী সেখানে যান। তবে তারা সবাই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত বলে তাদের দাবি।
জাহিদ হাসানের বোন শাকিলা খাতুন বলেন, ‘আমার ভাই ঢাকায় চাকরি করে। পঞ্চগড়ের এক বন্ধুর আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এবং আমার বাবা-চাচাও বাড়ি থেকে জলসায় যান। শুক্রবার রাত ১০টার পর মোবাইলে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।’ তবে কে সেই বন্ধু তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তারা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘তারা মসজিদে নামাজে আসে না। আর জুমার নামাজ উপজেলার মৌখাড়া এলাকার এক মসজিদে গিয়ে পড়ে। আমরা ভাবতাম তারা আহলে হাদিস হয়েছে। কিন্তু এখন শুনছি তারা নাকি কাদিয়ানি।’মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় কাদিয়ানি আছে বলে শুনিনি। তবে জাহিদ লেখাপড়া করতে গিয়ে কোনোভাবে তাদের সঙ্গে জড়িত হয়েছিল কি না জানি না।’