রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, “বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বাঙালি নেতা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, কিন্তু কেউ সফলতা পাননি। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই বঙ্গে যারা রাজত্ব করেছে তাদের বিরুদ্ধে এই দেশের যারা বিদ্রোহ করেছেন স্বাধীনতা চেয়েছেন তারা সাময়িক আন্দোলন ত্বরান্বীত করতে পারলেও পরিপূর্ণ সফলতা পাননি। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পলে পলে আন্দোলিত করে বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর এই স্লোগানে এই দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আজকের এই দিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এটিএন বাংলা আয়োজিত জয়বাংলা কনসার্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এটিএনবাংলা এবং এটিএননিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে জয়বাংলা কনসার্টে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম সূজাউদ্দিন, কাপ্তাই ৪১ বিজিবি’র কমান্ডার সাব্বির আহমদ প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আজকে তরুণ সমাজ নানাভাবে বিপদগামী হচ্ছে, সেটি থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার করার জন্য ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রয়োজন। আমরা যদি সমগ্র দেশে একটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ঝড় বয়ে দিতে পারি, তাহলে তরুণ সমাজকে বিপথগামীতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।”
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যুব সমাজকে মাদকাসক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। যুব সমাজকে মৌলাবাদে ঝুঁকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। কারণ মানুষের নির্মল আনন্দের প্রয়োজন রয়েছে। নির্মল আনন্দ ব্যতিরেখে জীবন হতে পারে না। সেজন্য এটিএন বাংলার এই আনন্দ আয়োজনের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
তরুণ সমাজকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়ার তরুণ যুবকরা অনেক বেশি স্মার্ট। গ্রামের কেউ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সবাই বুঝতেন সে গ্রামের ছেলে। কিন্তু এখন এই দৃশ্য পালটেছে। এখন গ্রামের তরুণ-যুবকরাও শহরাঞ্চলের যুবকদের ন্যায় একইরকম জীবন যাপন করে। শহর আর গ্রামের সেই পার্থক্য এখন আর নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটিই এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশের বাস্তবতা।”