ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: গোপন সূত্রে খবর পায়,দু এক দিনের মধ্যে অবৈধ ভারতীয় পণ্যের বড় একটি চালান যাবে চট্টগ্রাম শহরে, তাও আবার ফটিকছড়ির বিবিরহাট হয়ে। এমন তথ্য পাওয়ার পর ভাবতে লাগলেন কি ভাবে আটক করা যায় চালানটি। দু তিন দিন ধরে চিন্তায় মগ্ন ছিলেন ওসি। দূরন্ত কয়েকজন সহকর্মীর পরামর্শ নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হলো। শর্ত দেয়া হলো অপারেশন সফল হোক, বা না হোক প্রকাশ করা যাবে না।
যেই কথা, সেই কাজ। অভিযানের অংশ হিসেবে ৫ জুন নির্ঘুম রাত কাটাতে হলো ওসিসহ কয়েকজনকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন ভোরে পাইন্দং ইউনিয়নের চামারদিঘি এলাকায় চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কে অবস্থান নেয় থানা পুলিশের চৌকস একটি দল।
এবার অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। সকাল ৯ টার দিকে ঐ এলাকা অতিক্রম করছিল একটি কালো রঙ্গের পিকআপ। হাতের ইশারায় থামাতে চাইলে গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তবে,পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে, পরে গাড়িটি আটক করা হয়।গাড়ির ভিতরে বসা দুই যুবক। এদের এক জনের নাম জসিম উদ্দিন(২০) পিতা আব্দুল জলিল। অন্যজন সুমন (৩০) পিতা রমজান আলী। উভয়ের বাড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায়।
পুলিশ এসময় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৪টি প্লাস্টিকের ব্যাগে রক্ষিত ২১৪ পিস দামী ব্রান্ডের ভারতীয় শাড়ি এবং অপর একটি থেকে ১২৬ টি লেহেঙ্গা উদ্ধার করে। এর পূর্বে রাত জেগে নিঁখুত ভাবে জব্দ তালিকা করেন ওসি মাসুদ। আটককৃত শাড়ী লেহেঙ্গার বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ২২ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ফটিকছড়ির বাগান বাজার সীমান্ত দিযে পাচার হয়ে ভারতীয় শাড়ি লেহেঙ্গা ফটিকছড়ি দিয়ে প্রতিনিয়ত চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেটের তৎপরতায় চলে অবৈধ এ কার্যক্রম। এ সময়ের মধ্যে অবৈধ পথে পাচার হওয়া ফটিকছড়িতে ভারতীয় পণ্যের বড় চালান আটক এটি।