ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে আব্দুল বারেক (৩৬) নামের একজনকে আটক করেছে ভূজপুর থানা পুলিশ। আটককৃত ধর্ষক আব্দুল বারেক তিন সন্তানের জনক।
২৬ শে আগষ্ট সোমবার রাতে ধর্ষকের নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটক করে দাঁতমারা পুলিশ ফাঁড়ির আই সি আবুল কালাম আজাদ, এ এস আই দীপকও সঙ্গীয় ফোর্স।
জানা যায়, হেঁয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনির ছাত্রী রাহেনা আক্তারকে ধর্ষন করে ঐ এলাকার পুর্ব মুসলিম পাড়ার বাদশা মিয়ার পুত্র আব্দুল বারেক। উক্ত ছাত্রী বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষিতার মা নুর জাহান বেগম বলেন, আব্দুল বারেক সব সময় আমার ঘরে আসা যাওয়া করতো। বিভিন্ন সময় আমি আমার বাবার বাড়ীতে গেলে বারেক আমার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। প্রথমে আমরা বুঝতে না পারলেও সম্প্রতি মেয়ে আন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানা জানি হয়ে যায়। গতকাল রাত সাড়ে দশটার সময় ধর্ষক আব্দুল বারেক এর সাথে ভূজপুর থানা তার মুখোমুখি হলে সিপ্লাস টিভিকে ধর্শক বারেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৫ বছর যাবত তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করত, ৫ মাস আগে একদিন সন্ধ্যায় সে মেয়ের বাসায় যায়, মেয়ের মা চায়ের দোকানে ছিল, সেই সুবাদে ওই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন, সে কিছুই করোনি, সে নির্দোষ তবে সম্প্রতি ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী এবং এলাকার মাতবরদের কারণে গত শুক্রবার অাদালতে বিয়ে(অাকদ) করে। ধর্ষক ও মেয়ের মা,কে প্রশ্ন করা হলে শুক্রবার তো আদালত বন্ধ থাকে, কিভাবে আপনারা বিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে ১২বছরের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, সেই সব প্রশ্নের উত্তর তাদের কারো কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে উভয় পরিবার বলেছে তবে ঘটনাটি ধর্ষণের ঘটনা তাই তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। ভূজপুর থানার ওসি শেখ আব্দুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।