ফটিকছড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সূর্যমুখীর চাষ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তৈল জাতীয় ফসলটি  উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন চাষীরা।এ বছর আশানুরুপ ফলন হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।আগামীতে বানিজ্যিক ভাবে সুর্যমূখীর চাষ করা গেলে সয়াবিনের উপর চাপ অনেকাংশে কমবে বলে অভিমত স্থানীয় কর্মকর্তাদের।

এদিকে,সূর্যমুখীর বীজ থেকে সংগৃহীত তেলের চাহিদা থাকায় বাজারে এর যথেষ্ট কদর রয়েছে। যার কারণে কৃষকরা অধিক লাভের আশায় সূর্যমূখী চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে  চলতি বছর ফটিকছড়িতে অন্তত ৩০বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। যা অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে অনেক গুন বেশী। জানা যায়,শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু মিলিয়ে একবিঘা জমিতে সুর্যমূখী ফুলের চাষ করতে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বিপরীতে সংগৃহীত বীজ থেকে প্রতি বিঘায় আয় হয় ৩৫/ ৪০ হাজার টাকা।

উপজেলার নাজিরহাট – ফটিকছড়ি পৌরসভা, নানুপুর, বক্তপুর, রোসাংগিরী, সুয়াবিলসহ  আশেপাশের  এলাকায় এ বছর ব্যাপক হারে সূর্যমূখী ফুলের আবাদ লক্ষ্য করা গেছে।

বেশ কয়েকটি বিলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সবকটি গাছ পরিপক্ষ হয়ে ফুল এসেছে। সবুজ ক্ষেতের দিকে থাকালে মনে হবে বিশাল মাঠ জুড়ে একখন্ড হলুদ গালিচা পেতে রাখা হয়েছে।

এ নিয়ে  একাধিক চাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান আবহাওয়া ভাল থাকায় এ বছর সূর্যমূখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছুঠে আসছেন ক্ষেত দেখতে।আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামীতে আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা তাদের।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন এখানকার মাটি সূর্যমুখী চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফটিকছড়িতে উৎপাদিত সূর্যমূখী যে হারে বড় হয় তা আর কোথাও চোখে পড়েনি। তিনি আরো বলেন কৃষকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শের পাশাপাশি বিনামূল্য বীজ -সার বিতরণ করে সুর্যমূখী চাষে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাম্পার ফলন পরীক্ষিত হচ্ছে।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top