নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে নবাগত সরকারী আইন কর্মকর্তাদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র জেলা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁঞা বলেন,“ প্রশিক্ষণ পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির অপরিহার্য অংশ ।“
সোমবার (৯ জানুয়ারী) জেলা জজ মিলনায়তনে নবাগত সরকারী আইন কর্মকর্তাদের তিন দিন ব্যাপী বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁঞা প্রশিক্ষণার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, ” শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা দানে ফুরায় না, বরং মেধা মননশীলতা বিকাশ ঘটে। দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার কোনো অন্ত নাই। প্রতিটি মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। কখনো কাগজে কলমে কখনো কায়িক ভাবে, তিনি বলেন পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির এক অপরিহার্য অংশ। আইন পেশা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, এই পেশায় প্রতিটি মুহূর্তে চোখ কান ও অন্তর দৃষ্টি সজাগ রাখতে হয়। সেই কারণেই প্রশিক্ষণ অপরিহার্য।
উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পিপি এড: আজাহারুল হক সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা জজ জনাব আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, বিশেষ অতিথি ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমি।
বিশেষ অতিথি বেগম কামরুন নাহার রুমি বলেন, ” স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ধারাকে অব্যাহত রাখতে সরকারী আইন কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বিচার প্রার্থী জনগোষ্ঠী আদালতের দ্বারস্থ হয়, তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য রাষ্ট্র পক্ষ এবং প্রতিপক্ষে বিজ্ঞ কৌশলীদের ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। সেই কারণে সরকার পক্ষের আইনজীবীদেরকে দক্ষ ভাবে নিজেকে তৈরী করতে হয়। এই প্রশিক্ষণ দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ” নবাগত সরকারী আইন কর্মকর্তাদের টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মামলা সমূহ পরিচালনা করতে হবে। সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমেই বিজয় নিশ্চিত হয়। বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নব প্রজন্মের বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তা গণরাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা সচ্ছ ধারনাভাবে ন্যায় বিচারে পরিপন্থী সকল কার্যে ও ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্ছার থেকে কাজ করতে হবে।
এই অনুষ্ঠানে অন্যদের বক্তব্য রাখেন জেলা জিপি এড: নাজমুল আহসান খান আলমগীর, মহানগর পিপি এড: আব্দুর রশিদ।
এই তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিচারক ও সিনিয়র আইনজীবিগণ প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন। সফল প্রশিক্ষণ শেষে বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তাদের কে প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ করা হবে।