সিপ্লাস ডেস্ক: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন চার্জশিটের বাইরে উপ কর-কমিশনার মো. সাইফুর রহমান, সাব-রেজিস্ট্রার এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. সোহরাব হোসেন সরকার আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর আদালত তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আগেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার সাক্ষ্য অব্যাহত রয়েছে।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা প্রমাণের জন্য তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রয়োজন ছিল। তাই তাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক। বাকি পলাতকরা হলেন- লিলাবতী হালদার (পি কে হালদারের মা), পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।