নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম মহানগরীর বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহানগর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সিডিএ-এ মেগা প্রকল্পের জন্য খালে বাঁধ দিয়েছিল, যেগুলোর বেশিরভাগই অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু নিম্নাঞ্চলে এখনো কয়েকটি বাঁধ থেকে যাওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে পানি অপসারণ হচ্ছে না। ফলে বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছে।
সোমবার (২০ জুন) চকবাজার ওয়ার্ডের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণের সময় মেয়র এ কথা বলেন। এর আগে রেজাউল করিম চৌধুরী চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা ও পূর্বষোলশহর ওয়ার্ডের বহদ্দার হাট পর্যন্ত হেঁটে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যা থাকবে। তবে মেগা প্রকল্পের আওতার বাইরে যেসব খাল ও নালা রয়েছে সেসব স্থান পরিষ্কার রাখার কাজ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পূর্ব বাকলিয়া, গোসাইল ডাঙ্গা, দক্ষিণ পতেঙ্গা, জালালাবাদ ও পাথরঘাটা ওয়ার্ডে বৃষ্টির কারণে নালা ও খাল দিয়ে স্বাভাবিক পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি হওয়ায় পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা আজ সেখানে স্কেভেটর দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছে। এছাড়াও পূর্ব-বাকলিয়া ওয়ার্ডের গুপ্তখালের ব্রিজের কাজের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, যা আমার নির্দেশে আজ সকালে পরিষ্কার করে পানির প্রবাহ সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে পলি মাটি গিয়ে নালা ও খাল ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় শহরে পানি উঠে, আবার তা সরেও যায়। আমরাও তেমনটা চাই। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়েছে। যে কারণে উপকূলীয় শহর হিসেবে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ জোয়ারের পানি, এটাকেও ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে এক সময় ৭৬টি খাল ছিল, এখন আছে ৫৭টি। অনেক খাল ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে। সেই খালগুলো উদ্ধার করা দরকার। তিনি জলাবদ্ধতার মেগাপ্রকল্প বহির্ভূত ২১টি খাল ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে খনন করার প্রকল্প বান্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নূর-মোস্তাফা টিনু, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম।