সিপ্লাস ডেস্ক: দেশে ফের শুরু হয়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস’র (এলএনজি) আমদানি। সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে কেনা এক কার্গো এলএনজি ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। আগামী ১১ মার্চ আরও এক কার্গো এলএনজি দেশে আসার কথা রয়েছে। এর বাইরে স্পট মার্কেট থেকে আরও ছয় কার্গো এলএনজি কেনা হয়েছে।
এসব এলএনজি দেশে এসে পৌঁছালে চলমান গ্যাসের সংকট কেটে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সূত্র জানায়- দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি থেকে পাওয়ার কথা। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় দেশে আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে চলে আসে। গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
আরপিজিসিএল’র এলএনজি ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসা কার্গোতে ৬০ মেট্রিক টন এলএনজি রয়েছে। যা ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমান।
তিনি বলেন, স্পট মার্কেট থেকে পরবর্তী কার্গো আসবে ১১ মার্চ। স্পট মার্কেট থেকে মোট ৮ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। যা দিয়ে আগামী গ্রীষ্মের গ্যাসের চাহিদা মেটানো হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এলএনজি আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কাতারের রাস গ্যাস প্রথম এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি কার্গো আসে ওমান থেকেও। দেশীয় কোম্পানি সামিট এলএনজি ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির স্থাপন করা ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। এরপর ২০২০ সালে খোলাবাজার থেকেও এলএনজি আমদানি শুরু করা হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের শেষ দিকে সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দিলে দেশে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। এতে বিদ্যুতে শিডিউল লোডশেডিং করা হয়। সরকারের তরফ থেকে একঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও প্রকৃত লোডশেডিং ছিল তার চাইতে বেশি। এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং এড়াতে ও বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখতে আবারও স্পট মার্কেটের এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।