‘দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ এখনও নেটওয়ার্কের বাইরে’

ছবি: সংগৃহীত
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

সিপ্লাস ডেস্ক: এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডের জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। যদিও ১৮ কোটির উপর সক্রিয় সিম আছে, যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। তাছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে না। দ্রুত টেলিযোগাযোগ সেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়নসহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।

শনিবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরিকে দ্রুত সব পক্ষের সাথে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কেবলমাত্র রেগুলেশন আর লাইসেন্স প্রদান করলেই হবে না। চাই সমন্বিত উদ্যোগ।

আমাদের কেবল রেগুলেশনের মধ্যে রাখবেন আর প্রতিবন্ধকতা নিরসন না করে সেবা চাইবেন সেটা কিভাবে সম্ভব? জানিয়ে রবির চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার শাহেদ আলম বলেন, আমরা গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই বলেই আজকে নাগরিকদের সামনে আমরা উপস্থিত হয়েছি। রেগুলেশন দিয়ে আমাদের হাত পা বেঁধে রেখবেন, অন্যদিকে গ্রাহকরা আমাদের দোষারোপ করবে এটা কি সঠিক?

বাংলালিংকের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। উন্নত বিশ্বের সেবার সাথে আমাদের তুলনা দেওয়া হয়। অথচ উন্নত দেশের রেগুলেশন অনুযায়ী আমাদের রেগুলেশন নিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয় না। ইকো সিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।

অপারেটর ছাড়াও আরও ১২০টি প্রতিষ্ঠান অন্ধকারে রয়েছে এই সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে। তাদেরকে যদি জবাবদিহিতার মধ্যে না আনা যায় এবং সেবা দানে ও কোয়ালিটি সার্ভিস নিশ্চিত করতে বাধ্য না করা হয় তাহলে আরও হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও সেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।