সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে অক্ষত থাকা কনটেইনারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি নিয়ে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। কবে, কিভাবে এসব পণ্য ডিপো থেকে বের করা হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারছেনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তাদের এই ধীরগতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ফায়ার সার্ভিসের দেয়া প্রাথমিক হিসাবে বিএম কনটেইনার ডিপোর পুরো শেড পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভস্মীভূত হয়েছে প্রায় একশ কনটেইনার পণ্য। এখনও অক্ষত আছে প্রায় এক হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার। এসবের বেশিরভাগই তৈরি পোশাকের রপ্তানি পণ্য।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ডিপোর কার্যক্রম অচল থাকায় চাপ পড়বে অন্য ডিপোগুলোতে। তারা বলছেন, সাধারণত ঈদের আগে পণ্য রপ্তানি বাড়ে। অন্যদিকে আগুন নেভানোর পর ডিপোতে অক্ষত পণ্য রপ্তানি নিয়েও দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।
এসব কনটেইনার পরীক্ষা করে আমদানি-রপ্তানির উপযোগী আছে কিনা তা দেখার পর ডিপো থেকে বের করা হবে। তবে এ কার্যক্রম কবে শুরু হবে তা জানাতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর্থিক ক্ষতি এড়াতে এসব পণ্য নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর অক্ষত পণ্য কীভাবে রফতানি হবে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এসব কনটেইনার দ্রুত রফতানি করা না গেলে পোশাকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন তারা।
বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনে ১৩শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ডিপো মালিকদের সংগঠন-বিকডা।
অনেকগুলো জীবন কেড়ে নিয়ে এই ধ্বংসস্তুপ এখন জানান দিচ্ছে বহুপক্ষীয় ক্ষতির। যা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গভীর ক্ষত তৈরি করছে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা আরও বলছে এক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ করে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৪৮ জন নিহত হন। আহত হন দুই শতাধিক। প্রায় ৬১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়।