চিঠি দিয়েছি, সংসদ সদস্য যদি না মানেন আমাদের কিছু করার থাকে না: সিইসি

ছবি: সংগৃহীত
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

সিপ্লাস ডেস্ক: কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কাউকে অনুরোধ করার পর জোর করার ক্ষমতা ইসির নেই।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনকে এলাকা ত্যাগের অনুরোধ জানিয়ে গত ৮ জুন চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।

সিইসি বলেন, আমাদের কিছু আইনগত ক্ষমতা আছে। কিছু আংশিক, কিছু পরিপূর্ণ। যেমন- আমরা কোনো কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করতে পারি। কুমিল্লার বিষয়ে আমাদের যে আচরণবিধি আছে সেখানে বলা আছে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনি এলাকায় থাকবেন না, থেকে কোনোভাবেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না, বা প্রচারণা চালাবেন না। কুমিল্লার মাননীয় সংসদ সদস্য অনেকটা তেমন করছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, আমরা কিন্তু তাকে চিঠি দিয়েছি। বিভিন্নভাবে বলেছি ওই স্থান ত্যাগ করার জন্য। উনি ত্যাগ করেননি শুনেছি উনি আদালতে মামলা করেছেন। আমরা কাউকে অনুরোধ করতে পারি, আমাদের এমন কোনো ক্ষমতা নেই জোর করে একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে, উনাকে বলাটাই যথেষ্ট। সেটাকে সম্মান করাই যথেষ্ট। সেটা যদি উনি না করেন সেখানে আমাদের করার কিছু থাকে না।’

এর আগে নির্বাচন কমিশনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময়ের পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বর্তমানে যে আইনি কাঠামো আছে, সাংবিধানিক কাঠামো আছে এর মধ্যেই আমাদের নির্বাচন করতে হবে।

তিনি বলেন, এখনও আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করিনি। সকলেই একবাক্যে বলেছেন নির্বাচনটা কিন্তু ইনক্লুসিভিং হতে হবে। নির্বাচন যদি ইনক্লুসিভ না হয় তাহলে সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাস্তব অর্থে থাকবে না। এখানে আমাদের পলিটিক্যাল কালচারটাও কিন্তু অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের মধ্য পরমত সহিষ্ণুতা, তাদের মধ্যে ঐক্যমত যদি না থাকে নির্বাচন কমিশন একার পক্ষে খুব ভালো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। একথা আমরা আগেও বহুবার বলেছি। নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচন করে না, ভোটাররা অংশীজন, পার্টিগুলো অংশীজন তাদের মধ্যে যদি কিছু সমঝোতা, ঐক্যমত না থাকে তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা কষ্টকর হবে।’

সিইসি বলেন, যে বিদ্যমান সমস্যা আছে সেসব উত্তোরণের জন্য আমরা সহসা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করব। সামনে ঈদুল আযহা আছে, এরপর হয়তো আমরা সংলাপটা পুরোদমে শুরু করব। তাদের সাথে আমরা মত বিনিময়ে আমরা হয়তো সাজেশন চাইব, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো আরও পদ্ধতিগত কী পরিবর্তন করা যেতে পারে সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। আসলে কিন্তু ব্যক্তির বড় হওয়া উচিত না। আপনারা যদি মনে করেন এই ব্যক্তি খুব ভালো নির্বাচন করতে পারবে তা নয়। আসলে সিস্টেম। ব্যক্তির চেয়ে সিস্টেম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।