চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ, প্রাণহানি প্রায় ৫০০০

ছবি: সংগৃহীত
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

সিপ্লাস ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্প সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল। তুরস্ক সিরিয়ার শহরগুলো যেন মৃত্যুদ্বীপ। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। লাশের সারি বড় হতে হতে পাহাড়সম হচ্ছে। মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহততের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯৮৩ জন। সিরিয়া ও তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে হতাহতদের খুঁজে বের করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। তুরস্কের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে ২৪ হাজার ৪০০ উদ্ধারকর্মী উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে।

সোমবারের এই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬০০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ২০০র মতো আফটার শক হয়েছে।

এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আর্তকান্না শোনা যাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।

মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরা সেসব তুর্কি ও সিরীয়রা জানিয়েছেন তাদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের গা শিউরে ওঠা বাস্তবতা।

তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের এরডেম রয়টার্সকে বলেন, ‘তীব্র ঝাঁকুনি। নিজেকে মনে হচ্ছিল কোলে থাকা একটি শিশু। যাকে ইচ্ছামতো দোলানো হচ্ছে। আমি আমার জীবদ্দশার ৪০ বছরেও এমন ভয়াবহ কিছু দেখিনি। আমাদের শহরের বোধহয় একটি লোকও এখন বাড়িতে নেই। রাস্তাই তাদের গন্তব্য। কেউ গাড়ি চালিয়ে খোলা জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কেউ রাস্তায়ই বসে আছে গাড়ির ভেতরে।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দা সামের রয়টার্সকে বলেন, ‘বাড়ির দেওয়াল থেকে শখের চিত্রশিল্পটি পড়ে যায়। আমি খুব ভয় পেয়ে জেগে উঠি। এ যেন আমার জন্য এক দুঃস্বপ্ন।’ স্থানীয়রা জানান, তারা ভূমিকম্প টের পান ভোরে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দা সামের রয়টার্সকে জানান, ভূমিকম্পের সময় বাড়ির দেওয়াল থেকে পেইন্টিং খসে পড়ছিল।