নিজস্ব প্রতিবেদক: পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকাল সাংবাদিক মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মারুফ ইসলামকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়- এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একই সঙ্গে ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার মোট ২০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বহিষ্কৃত ২০ জনের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মারুফ ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১২-২০১৩ সেশনের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের ভার্সিটি এক্সপ্রেস গ্রুপের অনুসারী। এই গ্রুপ চট্টগ্রাম নগরীর সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা, গঠনতান্ত্রিক আদর্শিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বজায় রাখা ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের উপযোগী স্মার্ট ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণে সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান চবি সাংবাদিক সমিতিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে যে জাগরণ, যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সেটিকে কোনোভাবে বানচাল করার বা ভূলুণ্ঠিত করার সুযোগ নেই। যদি কেউ কোনোভাবে চেষ্টা করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেমনটি আমরা এই ঘটনায় করেছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কর্তৃক হেনস্তার শিকার হন দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক মারজান আক্তার ও আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠু। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তাকে বাধা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চায় ছাত্রলীগের ভিএক্স ও বাংলার মুখ গ্রুপের নেতাকর্মীরা।