চন্দনাইশে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ল ২১টি কক্ষ, আহত ২

চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে ১টি কাঁচা সেমীপাকা বাড়ির ২য় তলা বিশিষ্ট ২১টি কক্ষ। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ও পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশির সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িতে থাকা দামি আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ আগুনে পুড়ে গেছে। পরিবারের দাবি ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আগুন লাগার সময়ে বাড়িতে থাকা হাবিবুল বশরের ছেলে মাহাতাফ হাবিব মাহি (১৫) নামের একজন আহত হয় এবং চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো: সাজু নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করানো হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মুন্সি কেয়ামত আলী চৌধুরী বাড়ি তথা চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী গ্রামের বাড়ির উত্তর পাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্তরা পরিবার হলেন, মৃত আবুল বশরের ছেলে যথাক্রমে মাহাবুল বশর, সাইফুল বশর ও হাবিবুল বশর, আবুল হোসেনের  ছেলে যথাক্রমে আবু তাহের ও জাফর আহমদ, নুরুল আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন ও পিবলু।

ক্ষতিগ্রস্থ হাবিবুল বশর বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ একটি ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে মুহূর্তেই আগুন পাশের ২১টি রুমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চন্দনাইশ ও পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় ১ঘন্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার ছেলে মাহাতাফ হাবিব মাহি (১৫) আহত হয়।

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার রাখাল চন্দ্র রুদ্র বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ও

পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট সর্বমোট ৪টি ইউনিট এবং স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে বাড়িটির ২১টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রতিটি কক্ষে দামি আসবাবপত্র ছিল। বাড়ির অবকাঠামো দেখে ধারণা করছি আগুনে আসবাবপত্র ছাড়াও নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তেই অন্য কক্ষগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো: সাজু নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করানো হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা মোঃ সোলাইমান ফারুকী, জোয়ারা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন ও জোয়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো:ইলিয়াছ চৌধুরী বাবরসহ নেতৃবৃন্দ।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top