চট্টগ্রাম নগরে অপহরণের পর শিশু হত্যা, গ্রেফতার দুই

নিজস্ব  প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অপহরণের পর দাবি করা ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা ও মরদেহ গুমের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে নগরীর হালিশহর থানার পানির কল এলাকা ও পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান এলাকার চাঁন মিয়া ফকির বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) এবং পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট হামজা আউলিয়া মসজিদ সংলগ্ন চান্দ মিয়া সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে মো. মজিব দৌলা ওরফে হৃদয় (২৮)।

গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান সংলগ্ন তৌসিফের সেমিপাকা নির্মাণাধীন কলোনি থেকে শিশু মো. শফিউল ইসলাম রহিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে হত্যা মামলা হয়েছে। এরপর আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল বিকেল সোয়া তিনটার দিকে পশ্চিম মোহরা চাঁন মিয়া ফকির বাড়ির মো. সেলিম উদ্দিনের ১১ বছর বয়সী ছেলে মো. শফিউল ইসলাম রহিমকে অপহরণ করা হয়। এরপর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। তবে টাকা না পেয়ে শিশু রহিমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলেন তারা।

এদিকে, রহিমকে খুঁজে না পেয়ে ২৯ এপ্রিল চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভিকটিমের বাবা সেলিম উদ্দিন। ডায়েরির সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করে। পরে ৩ মে অভিযান চালিয়ে হালিশহর এলাকার পানির কল এলাকা থেকে আজম খানকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য মতে বুধবার রাতে রহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিমের পিতার সাধারণ ডায়েরি পাওয়ার পর পুলিশ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি নেয়। এরপর ঘটনাস্থলের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় মূল আসামি আজম খানকে শনাক্ত করা হয়। বুধবার আজম খানকে গ্রেফতারের পর পুরো ঘটনা তিনি স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সহযোগী আরেক আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয় এবং ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অপরাধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হয়েছে বলেও জানান ওসি খাইরুল ইসলাম।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top