চট্টগ্রামে বিএনপির জনসমাবেশ, মহিলা দলের দুই পক্ষের হাতাহাতি-ধস্তাধস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পদচারণায় মুখর চট্টগ্রামের রাজপথ। বেনার, ফেস্টুন নিয়ে স্লোগানে মুখর নগরীর কাজীর দেউরি এলাকা। বিএনপি নেতাকর্মীদের এই শোডাউন দাবি আদায়ের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানি বন্ধ, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির এই আন্দোলন, শোডাউন এবং জনসমাবেশ।

শুক্রবার (১৯ মে) নগরীর কাজীর দেউরি সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে মহিলা দলের দুই নেত্রীর মধ্যে হাতাহাতি এবং মারামারির ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বেসরকারী একটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রীসহ মহিলা দলের বেশ কয়েকজন নেত্রী।

বিকাল হতেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের দলে দলে সমাবেশে যোগ দিতে থাকে। এসময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কিছুদিন আগে শেখ হাসিনা জাপানে গিয়েছিলো, যাওয়ার আগে অনেক কথা বলে গিয়েছি্লো। কিন্তু জাপান থেকে কিছু আনতে পারেনি। তার পরে আমেরিকা গিয়েছিলো। সেখানে সরকারি দফতরের একজন পিওনের সাথেও প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে পারেনি। এই প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকা সরকার থেকে কেউ ওয়েলকাম করতে আসেনি। আমেরিকা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখাত হয়েছেন।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যারা টাকা পাচারে জড়িত তাদের নাম সরকার মুখে আনছে না। কারণ তাদের লোকই এই টাকাগুলো পাচার করেছে। এইভাবে সরকার দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ গরীব মানুষ দু’বেলা খেতে পারে না, মধ্যবিত্ত মানুষ গরীব হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে এই অর্থনীতি ঠিক করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করেছে। দেশের টাকা পাচার করে সুইস ব্যাংকে জমা রেখেছে। কানাডা, আমেরিকায় বাড়ি করেছে। মালয়েশিয়ায় থাকার ঘর করেছে। এসব আমাদের কথা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব কথা বলেছে। ‘এই সরকার যেখানে বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেখানে আর তারা বিচারবিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। এই সরকার যেখানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্নভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে সেটা আর পুনরদ্ধার করতে পারবে না। তাই এদেশের জনগণ এই অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকারকে প্রত্যাখান করেছে। শুধু এই দেশের জনগণ নয় সারা দেশের মানুষ আজ শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখান করেছে।’

‘ওয়াশিংটনের রাস্তায় মানুষ স্লোগান দিয়েছে শেখ হাসিনা ভোট চোর। সেখানে গিয়ে একটি অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সাথে হঠাৎ করে বসে একটি ছবি দিয়ে সারা দেশের মানুষকে বোকা বানাতে চেয়েছে শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ সরকার স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কোনো বৈঠক হয়নি।’

জনসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলরের সদস্য এস এম ফজলুল হক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম প্রমুখ।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top