ঘূর্ণিঝড় মোখা ভাটা শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই: প্রতিমন্ত্রী

সিপ্লাস ডেস্ক: ভাটা শুরু হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, মোখায় আশ্রিত মানুষ ৭ লাখ ছাড়িয়েছে তবে এবারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো। দুপুর ২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ বাংলাদেশ সীমায় আঘাত করবে। ৩ টার মধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে চলে যাবে।

রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভাটা শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই। এখন ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হচ্ছে। কেন্দ্রে গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার। তবে আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নগদ টাকা পাঠানো আছে। এ ছাড়া মহাবিপৎসংকেত ঘোষণার পর সৈকত খালি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৭ লাখের উপরে মানুষ আছে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। আমাদের চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার চব্বিশটি আশ্র‍য় কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ, কক্সবাজার জেলায় ৫৭৬ টি কেন্দ্রে ২ লাখের অধিক এবং সেন্টমার্টিনে সাড়ে আট হাজার লোককে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কুতুবদিয়া, সন্দীপ এবং নোয়াখালীর কিছু অংশের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেই৷ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছি।

এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা ২০ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি। ২০০ মেট্রিক টন চাল দিয়েছি, ১৪ মেট্রিক টন ড্রাই কেক এবং টোস্ট দিয়েছি। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, খাবার স্যালাইন এবং মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়।’

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
Scroll to Top