গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে নগরবাসী

সিপ্লাস ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এ কারণে শনিবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। দুপুরের দিকে রিজার্ভ গ্যাস পাওয়া গেলেও রোববার (১৪ মে) তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

গ্যাসের চুলা নির্ভর বাসা-বাড়ি ও দোকানগুলোতে রান্না চলছে না। অনেকে ইলেকট্রিক ও লাকড়ির চুলায় সারছেন কাজ।

এদিকে গ্যাস সরবরাহ না থাকলেও নগরের বেশকিছু এলাকায় রান্নাঘরে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন্স) আমিনুর রহমান। তিনি জানান, গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করার জন্য ‘অডোরেন্ট’ নামে এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই রাসায়নিকের গন্ধ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

চট্টগ্রামে কেজিডিসিএলের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রামের সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক গাড়িতে গ্যাস নিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস-সংকট থাকবে। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে নিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। রিজার্ভে সাধারণত গ্যাস থাকে ৮০ থেকে ৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) রইস উদ্দিন আহমেদ জানান, কোথাও লিকেজের খবর পেলে অভিযোগ জানাবেন কেজিডিসিএল’র হটলাইন: ১৬৫১২, প্রধান কার্যালয়- ফোন: +৮৮০২৩৩৪৪৫২৭৯৬, মোবাইল: +৮৮০১৭৩০৭২৮৪৪৪, হালিশহর কার্যালয়- ফোন: +৮৮০৩১২৫২৬৬০৪, +৮৮০২৩৩৩৩১১৬২০, মোবাইল: +৮৮০১৭৭৭৭১৭৬০৮ নম্বরে।

ক্যালেন্ডার
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Scroll to Top