সিপ্লাস ডেস্ক: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী ফারাক্কা বাঁধ থেকে পানি সরবরাহ খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি দেওয়ার কথা ছিল, সেই অনুযায়ী পানি যাচ্ছে কি-না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দলটি পশ্চিমবঙ্গে এসেছে।
বুধবার সকালের দিকে প্রতিনিধি দলটি পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা বাঁধ (ব্যারেজ) এসে পৌঁছায়। সেখানে তারা ফারাক্কা বাঁধ ও পানি সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ফরাক্কার ডাউন স্ট্রিম পরিদর্শন করে।
এর আগে কলকাতা ও ফারাক্কায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের ৮০তম বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয় নিয়ে দুই প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা হবে।
পরিদর্শনকালে ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনেরাল ম্যানেজার আর. ডি দেশপান্ডে, রাজেশ কুমার, অজিত কুমার ও ফরাক্কার বাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আবুল হোসেন, শ্রী অতুল জৈন, মাহমদুর রহমান, মহমোদুল হক ও রায়দুর রহমান।
ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন শেষে আর ডি দেশপান্ডে জানান, চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে বাংলাদেশে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
রাজেশ কুমার জানান, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানি সরবরাহে কোনো অসুবিধা নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশকে ন্যূনতম পানি সরবরাহের গ্যারান্টিসহ ৩০ বছরের পানি বণ্টনের বিষয়ে সমঝোতা রয়েছে।