খুলছে পদ্মা সেতু, সন্ধ্যায় বন্ধ হলো ফেরি চলাচল

ছবি: সংগৃহীত
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

সিপ্লাস ডেস্ক: রাত পোহালেই অপেক্ষার দিন শেষ হচ্ছে। আগামীকাল উদ্বোধন করা হবে বহুপ্রত্যাশিত পদ্মা সেতু। রোববার থেকে যানবাহন নিয়ে মানুষ সেতু পারাপার হতে পারবেন। এজন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াতের শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হলো ফেরি চলাচল। তবে প্রয়োজন হলে জরুরি সেবায় সীমিত পরিসরে ফেরি চালু থাকার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নিয়মিত সার্ভিসের শেষ ফেরিটি মাঝিরঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

শিমুলিয়া থেকে মাঝিরঘাট নৌপথে নিয়মিত ৭টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার হলেও আজ চলে ৩টি ফেরি। ঘাটে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার হতো। শুকনো মৌসুমে নাব্যতা সংকট ও বর্ষায় তীব্র স্রোতে অনেক সময় বন্ধ থাকতো ফেরি চলাচল। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।

ঘাটের কর্মকর্তা ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে যাত্রী পারাপারের জন্য ট্রলার সার্ভিস চালু করা হয়। এরপর ১৯৮৮ সালে চালু হয় ফেরি। আর ১৯৯৬ সালে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

তারা আরো জানায়, নদীভাঙন ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের কারণে মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে মাওয়া থেকে ঘাট সরিয়ে শিমুলিয়ায় নেয়া হয়। আর দক্ষিণে শিবচর প্রান্তে কাওরাকান্দি, কাঁঠালবাড়ি ও বাংলাবাজারে সরিয়ে আনা হয়। নৌপথ দুটিতে ৮৬টি লঞ্চ, ২৫০টি স্পিডবোট ও ৫টি ফেরি চলাচল করত। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৯ জেলার মানুষ এই নৌপথ দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেন।