কেজি ৮০ টাকা টমেটোর দাম বেড়ে ৩৫০ টাকা

ছবি: সংগৃহীত
CPLUSTV
CTG NEWS
CPLUSTV
শেয়ার করুন

সিপ্লাস ডেস্ক: ১০-১৫ দিনে আগেও রাজধানীর প্রতিটি কাঁচাবাজারে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো টমেটো। এরপর দাম বেড়ে শুরুতে দাঁড়ায় ১২০ টাকা কেজি, তারপর ১৫০ টাকা। আর সেই টমেটো এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, এই দামে টমেটো কিনে বাসায় নিয়ে যাওয়া কোনো মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তের পক্ষে সম্ভব না। আর ঈদের সময় দাম ৪০০ টাকা ছাড়িয়ে যবে বলে আশঙ্কা তাদের।

৫ জুলাই (মঙ্গলবার) রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার কাঁচাবাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজার ও জিগাতলা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়,  বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত টমেটোর সরবরাহ নেই। এছাড়া রাজধানীর বেশ কয়েকটি সুপার শপেও টমেটোর সংকট দেখা গেছে। যেসব সুপার শপে টমেটো বিক্রি হচ্ছে সেখানে দাম ৩০০ টাকা কেজি।

ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। মানুষ মাংসের সঙ্গে সালাদ খেতে পছন্দ করে। কিন্তু ঈদের আগে সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ টমেটোর দাম এখন আকাশচুম্বী।

পশ্চিম রাজাবাজারের কাঁচাবাজারে বাজার করতে যাওয়া ক্রেতা মো. আজাদ বলেন, এটা কিভাবে সম্ভব? ১ কেজি টমেটো ৩০০ টাকা! আমি যখন প্রথমে বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করি দাম কতো টমেটোর, তখন আমাকে ৩০০ টাকা বলার পর বিশ্বাস করতে পারিনি। আরও দুইবার জিজ্ঞাসা করার পর একই দাম বলায় বিশ্বাস হয়েছে। ঈদ আসার আগেই ৩০০, আর ঈদের আগের দিন থেকে মনে হয় ৪০০ করে বিক্রি হবে। তখন মানুষ টমেটো বাদ দিয়ে বেশি করে শসা কিনতে চাইবে, তখন এটার দামও বাড়বে। ঈদে মনে হয় এবার আর সালাত খাওয়া যাবে না।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন তারা মোকামে গিয়ে টমেটো পাচ্ছেন না। রাজধানীর সব থেকে বড় সবজির পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে টমেটো নেই আড়তগুলোতে। আর কিছু আড়তে টমেটো থাকলেও তা মান অনুযায়ী কেজি প্রতি পাইকারি দামে ২৮০-৩০০ টাকা করে আনতে হয়েছে। পরে তা খুচরা বাজারে ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও কাঁচাবাজারের সামনে ঠেলাগাড়িতে ভাসমান সবজি বিক্রেতাদের প্রায়ই দেখা যায়। তাদের কাছ থেকে ক্রেতারা বাজারের তুলনায় কিছুটা কম দামে সবজি কিনতে পারেন। তবে এসব ঠেলাগাড়িও এখন টমেটো শূন্য।
টমেটোর দাম বাড়ার ও যোগানের সংকট নিয়ে কারওয়ান বাজারের কয়েকটি আড়তের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের প্রথম ৫-৬ মাস দেশীয় টমেটোর মাধ্যমে বাজার ঠিক রাখা হয়। এর পরপরই বাজারে আর দেশীয় টমেটো পাওয়া যায় না সিজন শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে। দেশীয় টমেটো শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় টমেটোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে যায় বাজার। দেশীয় টমেটোর সিজন না আসা পর্যন্ত ভারতীয় টমেটো বাজার স্বাভাবিক রাখে। আর এখন ভারতের টমেটোর আমদানি বন্ধ থাকায় বাজার বেসামাল হয়ে পড়েছে।