সিপ্লাস ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেছেন, ‘পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। পালাবেন কোন দিকে? কোনো দিকে পালাবার পথ নেই। এখনো সময় আছে, ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।’
তিনি আরো বলেন ‘কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল, দেশের মানুষ সব জানে। কিন্তু পালাননি একজন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সুতরাং এসব কথা বলে লাভ নেই।’
বিএনপির চলমান পদযাত্রা কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি পালায় না। এক–এগারোতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারা দেশ থেকে পালিয়েছিল, দেশের মানুষ সব জানে। কিন্তু ওই সময় পালাননি একজন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তখন খালেদা জিয়া পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, “বিদেশে আমার কোনো জায়গা নেই। এ দেশ আমার, এ দেশের মাটি আমার, আমি এ দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না। এখানে আমার জন্ম, এখানেই আমি মরব।” সুতরাং এসব কথা বলে লাভ নেই। কে কোথায় পালায়, কবে পালায়, কেমন করে পালায়—দেশের মানুষ সবই জানে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের এমপি ছিলেন সাত্তার সাহেব (উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া)। তিনি পদত্যাগ করলেন। তারপর ভুল করে যখন আবার নির্বাচন করতে গেলেন, তখন আমরা তাঁকে বহিষ্কার করলাম। এখন তাঁকে জেতানোর জন্য সব নীতিমালা ও নৈতিকতা বাদ দিয়ে আপনারা আপনাদের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, তাঁকেও দুদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গুম।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সাত্তারকে জেতানোর জন্য পুরো নির্বাচনব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন। আপনারা মাগুরার কথা বলেন। মাগুরার দাদা বানিয়ে ফেলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। সুতরাং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
চলমান কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এই পদযাত্রা গণতন্ত্রের জয়যাত্রা, সভ্যতার জয়যাত্রা, অধিকার আদায়ের জয়যাত্রা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জয়যাত্রা।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বেলা ২টা ৫০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।