নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্ণফুলী রক্ষায় সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনব্যাপী সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (মার্চ ২) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীতে শতাধিক সাম্পান ভাসিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন ‘বিনি সুতার মালা’ এর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠান এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে ঘুরে ঘুরে কর্ণফুলী দখল দূষণমুক্ত করার গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নদী ব্যবহারকারীদের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক গান ও পাহাড়ি নৃত্যের আয়োজন করা হয়।
বিনি সুতার মালার ভাসমান মঞ্চ কর্ণফুলী নদী সদরঘাট, চরপাথরঘাটা সাম্পান ঘাট, গাইজ্জার ঘাট, তোতার বাপের হাট, কালুরঘাট বোয়ালখালী হয়ে নগরীর ব্রিজ ঘাট অভয়মিত্র ঘাট ও বাংলাবাজার এসে সমাপ্ত হয়।
প্রধান বক্তা ছিলেন কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন, চরপাথরঘাটার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মেম্বার।
এসময় কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বিভিন্ন নদী আমরা রক্ষা করতে পারিনি বলে নানা সময়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় লক্ষ করেছি। কর্ণফুলী গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। কারণ, চট্টগ্রাম হলো দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। আর চট্টগ্রামের প্রাণ কর্ণফুলী নদী। কর্ণফুলী নদী বাঁচাতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নদী রক্ষায় কাজ করতে হবে। যাঁরা এ নদী ব্যবহার করছেন, তাঁদের যেমন দায়িত্ব আছে; ঠিক তেমনিভাবে যাঁরা নদীর আশপাশে বসবাস করছেন, তাঁদেরও নদী বাঁচানোর দায়িত্ব রয়েছে।’ কর্ণফুলী নদী রক্ষায় পুলিশ সহযোগিতা করবে আশ্বাস দিয়ে কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, কর্ণফুলী নদীর বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগিতা সব সময় পাবে।
প্রধান বক্তা চৌধুরী ফরিদ বলেন, কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে হবে। কর্ণফুলী হলো দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। অবৈধভাবে কর্ণফুলী নদীর তীর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদযাপন ও কর্ণফুলী নদী দখল দূষণমুক্ত করার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান।