রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থাপিত ব্লকের গোড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের দায়ে এক যুবককে তিন লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে এই অর্থদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম।

সরফভাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ভূমিরখীল এলাকার ইউপি সদস্য মো. দিদারুল আলম জানান, তথ্যমন্ত্রীর হাত ধরে পূর্ব সরফভাটা থেকে গোডাউন ব্রীজ পর্যন্ত কর্ণফুলীর ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে দুইশো কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লক স্থাপন করা হয়েছিলো। বেশ কয়েক বছর আগে স্থাপিত ব্লকগুলো কয়েক স্থানে ধসে পড়া শুরু করলে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে মেরামতও করা হয় বেশ কয়েকবার। সম্প্রতি আবারও ব্লক ধস ঠেকাতে দাবী জানিয়ে আসছিলো স্থানীয়রা। এরমধ্যেই মধ্যম ভূমিরখীল এলাকায় ব্লকের গোড়া থেকে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বালি উত্তোলন করে আসছিলো স্থানীয় আমিনুল হকের ছেলে ইউনুস (২৬) নামে এক যুবক। তাকে ভূমিরখীল নদী ভাঙণ প্রতিরোধ কমিটিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার মুরব্বিরা বার বার নিষেধ করলেও সে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছিলো। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে।
গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এলাকাবাসী তাকে বালি উত্তোলনকালে ঘেরাও করে ধরে ফেলে। তাকে রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও আতাউল গনি ওসমানীর কাছে নিয়ে আসলে তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনারকে দায়িত্ব দেন। পরে অভিযুক্ত ইউনুসকে নিয়ে স্পটে যাওয়ার সময় সে প্রথমে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সে চলন্ত সিএনজি অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পালানোরও চেষ্টা করে। তবে এলাকাবাসী তাকে ধরেবেঁধে ঘটনাস্থলে নিলে ব্লকের গোড়া থেকে বালি উত্তোলনের সত্যতা পেলে এই অর্থদন্ড দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে নদী ভাঙন প্রতিরোধক ব্লকের গোড়া থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ধরে সে এভাবে বালি উত্তোলন করছে বলেও স্থানীয়রা জানান। পরে তাকে তিন লাখ টাকার অর্থদন্ড এবং ড্রেজার মেশিন জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকবে মর্মে মুছলেখা নেয়া হয়েছে।