ফেনী প্রতিনিধি: মেয়র সাজেল চৌধুরীর মামলায় পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইয়াসিন শরীফ মজুমদারের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান।
পরশুরামের আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইয়াসিন শরীফ মজুমদার।
ইয়াসিনসহ এ মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনকে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করা হয়।
এদের মধ্যে ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করে ইয়াসিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান।
ইয়াসিনের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু এসব তথ্য জানান।
আর এতেই সাধারণ মানুষের কাছে বৃষ্টি হয়েছে জল্পনা কল্পনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিষয়ে পরশুরাম আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মী জানান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকেও আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ নেতান জানান,করোনার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়াসিন শরীফ।
করোনার ভয়ে লাশ উঠোনে পড়ে ছিল ১০ ঘণ্টা’, ‘করোনা উপসর্গে মৃত্যু, লাশ দাফন করেনি পরিবার’, ‘করোনার ভয়ে ঢামেকের সামনে মাকে ফেলে চলে গেলো সন্তান’- এখন গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়তো এমন সংবাদ শিরোনাম। অন্তিম শয্যায়ও আপনজনরা পাশে নেই, জানাজায় প্রিয়জনদের ঢল নেই।
এমন বিপর্যয়েও রয়েছে মানবিকতার ভিন্ন চিত্র। স্বজনরা যেখানে মৃতদেহ রেখে পালিয়ে ছিলেন সেখানে কেউ কেউ নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে অচেনা মানুষের মরদেহ দাফন করছেন।
হয়ে উঠছেন অচেনা মরদেহের স্বজন। এমনই একজন ফেনীর সীমান্ত উপজেলা পরশুরামের মো. ইয়াসিন শরীফ মজুমদার এবং একইসঙ্গে তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতিও। তবে এসময় রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন তিনি।
গঠন করেন ‘পরশুরাম উপজেলা করোনা স্বেচ্ছাসেবক টিম। এরপর ১ মাস ২০ দিনে দাফন করেছেন ১১টি মৃতদেহ। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত রোগী ছিলেন পাঁচজন।
ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও চাকরিজীবী ইয়াসিন শরীফ জানান, এ দাফন টিমের সবাই নিজেদের জীবনের পরোয়া না করেই দিনের যেকোনো সময় ছোটেন মৃতদেহের দাফনে। প্রত্যেকেই হয়ে উঠেছেন অচেনা মৃত ব্যক্তিদের স্বজন।