ঢাকার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ক্যাসিনো ছাড়াও কমলাপুরে একটি নির্যাতন কেন্দ্রের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম বলছেন, খালেদকে বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই ওই ‘টর্চার সেলে’ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে অন্যান্য অবৈধ সরঞ্জামের পাশাপাশি ‘ইলেক্ট্রিক শক’ মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক দলীয় সভায় যুবলীগ নেতাদের ‘অপকর্ম’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী এক যুবলীগ নেতার ‘প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরার’ প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
মতিঝিল, কমলাপুর, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, বাসাবো, মারদারটেকসহ আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারী খালেদ ভূঁইয়াকে ইঙ্গিত করেই তিনি একথা বলেছিলেন কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ৬৪/৬৮ ইস্টার্ন কমলাপুর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলার ৪০২ নম্বর কক্ষে ‘নির্যাতন কেন্দ্র’ গড়ে তুলেছিলেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
“সেখান থেকে ১৯০টি ইয়াবা, প্রায় পৌনে এক কেজি সীসা, সীসা খাওয়ার সরঞ্জাম, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, তিনটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ, লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য ব্যবহারের তেল, পাঁচ ক্যান বিয়ার ও নগদ প্রায় ২৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে করা এই মামলায় খালেদকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে মাদক পাওয়ার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
তবে ইয়াংমেনস ক্লাবের ঘটনায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।