রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভির কাটা, বধুপাড়া এলাকার মোঃ আবদুল জলিলের পুত্রবধু ওমান প্রবাসি মোঃ ওসমানের স্ত্রী মোর্শেদা খানম (সুমিনা আক্তার) (৩০) তার শাশুড় বাড়ির ৫ ভরি স্বর্ণসহ নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও মুল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে উধাও হয়েছেন। এই ঘটনায় ওই গৃহবধুর সাশুড় বাদি হয়ে রামু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের ফাক্রির কাটা ৬ নং ওয়ার্ডের মনির আহম্মদের মেয়ে মোর্শেদার সাথে বিগত ১ বছর আগে মুসলিম পারিবারিক আইন মতে বিয়ে হয়েছিল ওসমানের সাথে। কয়েকমাস তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে শান্তিতে চললেও মোর্শেদার স্বামী ওসমানে যাওয়ার পর পরই নেমে আসে সংসারে নানা অশান্তি। ওসমানের পিতা আবদু জলিল অভিযোগ করেন, তার ছেলে ওমান যাওয়ার পর থেকে তাদের পুত্র বধু মোর্শেদার চলাচল বেপরোওয়া হয়ে যায়। সে কারনে অকারনে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। যখন যার সাথে খুশি চলে যেতেন। এমনকি সে নানা ছেলের পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। যার কারনে ওই গৃহ বধু, তাদের সংসারে অমনোযোগী হয়ে যায়। মোর্শেদার সাশুড় জলিল আরো জানান, তার পুত্র বধু তার বাড়ির ৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর তার ছেলে ওসমানকে আদালতের মাধ্যমে তালাক নামা প্রেরণ করে। এর কিছু দিন পর, তার পুরানো পরকিয়া প্রেমিক, কক্সবাজার সদরের ঝিলেংজা খুরুলিয়া ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার গুরামিয়ার পুত্র মোঃ জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ককসবাজারের নারী কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে বলে জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবি। আবদুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, ওই মোর্শেদা উল্লেখিত অপকর্ম করার পরও এখন তাকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে মোটা অংকের চাদাঁ দাবী করছে। আর তার দাবীকৃত চাদাঁ না দিলে তার ছেলে মেয়েসহ তাকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে জানান, মোর্শেদার শাশুড় জলিল। এই ব্যাপারে অভিযোক্ত মোর্শেদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।