রামু প্রতিনিধি: গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের সত্বারা এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। অপহরণের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর আজ শনিবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯ টার দিকে আবু তাহের ও রিফাতকে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণে মুক্তি লাভ করে।
উভয়ের পরিবার সুত্রে জানা যায়, অপহরণকারীরা প্রথমে জনপ্রতি ৩ লাখ করে উভয়ের জন্য মোট ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল। পরে আজ ১৮ই ফেব্রুয়ারি অপহৃত যুবকদের পরিবারকে ফোন দেয় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। এতে সারাদিন দর কষাকষি শেষে সন্ধ্যা জনপ্রতি পঞ্চাশ হাজার টাকা করে উভয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকায় মুক্তিপণে মুক্তি দিতে রাজি হয় অপহরণকারীরা। রাত সোয়া ৯ টায় অপহৃত যুবকদের, অপহরণের একই স্থান থেকে ১ লক্ষ টাকায় মুক্তি দেয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
অপহরণের শিকার ২ যুবক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তোফান আলী পাড়া গ্রামের গফুরের ছেলে আবু তাহের (২৪) ও ছৈয়দুল হকের ছেলে রিফাত (২০)।
উল্লেখ্য আবু তাহের ও রিফাতের গত শুক্রবার রাতে ঈরগাওঁ থেকে সিএনজি যোগে বাইশারী উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পাত্বারা নামক ঢালায় পৌছলে ডাকাতদল ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িটির গতিরোধ করে। এসময় সংঘবদ্ধ শসস্ত্র ডাকাতরা নাম পরিচয় সনাক্ত করে ওই ২ যুবককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় অপহৃত পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানদের অপহরণের পর প্রশাসনিক কোন সহযোগিতা পাইনি। এদিকে দিন দিন এসব অপহরণ – ডাকাতির ঘটনায় ঈদগড়, বাইশারী, ঈদগাঁও এলাকার সাধারণ মানুষ চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির জানান, ডাকাতি-অপহরণের ব্যাপারে শুনেছেন। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। কিন্তু ঈদগাওঁ থানা পুলিশ অপহরণ – ডাকাতি বন্ধে নিয়মিত পুলিশি টহল ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন এলাকাটি পাহাড়ী ও ডাকাত কবলিত এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ একা অপরাধীদের কব্জা করতে পারছে না। তিনি এলাকার সকলের সহযোগিতা পেলে, সবাইকে নিয়ে এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন বলে জানান।