রামু প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন বাস্তুহারালীগের সাবেক সভাপতি ও মাঝির কাটা কিন্ডারগার্টেন দাখিল মাদ্রাসার দাতা সদস্য শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রামুর গর্জনিয়া মাঝিরকাটা সড়কে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকে শাহিনুর রহমান এর বিরুদ্ধে এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহল তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি মারামারি ঘটনায় সে জড়িত না থাকা স্বত্তেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। বর্তমান সে মিথ্যা মামলায় কারাবাস করছে। সঠিক তদন্তপূর্বক এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মাঝিরকাটা কিন্ডারগার্টেন দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. আইয়ুব, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন,মাঝির কাটা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ আলম, মাঝির কাটা আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা বদি আলম, শামসুল আলম, লুৎফুর রহমান, মুবিনুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য খালেকুজ্জামান, মোঃ ইকবাল, একরাম, মোঃ তৈয়ব, মোঃ নবী, জয়নাল আবেদিন, ইউনুস, আবু তাহের, শমা, নবী হোসেন, নুরুচ্ছাফা বেগম, নুর জাহান, মাজেদা ইসলাম, দিলদার বেগম, মিশু আরা, বুলবুল আক্তার, মোকাররমা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সেলিনা আক্তার প্রমুখ। পরে গর্জনিয়া ইউনিয়ন বাস্তুহারালীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
সমাবেশে আসা শাহিনুর রহমানের মা রিজিয়া বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন- তাঁর ছেলে কখনো কোন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত হয়েছে এরকম প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। বরং শাহিন এলাকায় শিক্ষার প্রসার, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এজন্য তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের সহ নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তিনি প্রশাসন, আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত নারী পুরুষ অংশ নেয়।
