রামু প্রতিনিধি: রামু নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে গর্জনিয়া সীমান্ত সড়কের ৫টি বেইলি সেতু ও সড়কের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।বেইলি সেতুগুলো যেমন ঝুকিঁপূর্ণ তেমনি সড়ক ছোট হওয়ার কারণে চলাচলেও সাধারণ মানুষের বেশ কষ্ট পেতে হচ্ছে। রামু নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে একমাত্র সীমান্ত সড়ক হলেও গুরুত্ব সহকারে সড়কের তদারকি নেই বলে মনে করছেন এলকাবাসী।
নাইক্ষ্যংছড়ির -বাইশারী-দোছড়ি ও রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া সড়কে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সংলগ্ন বেইলি সেতু ধসে পড়েছিল ২০২০ সালের।
এই সেতু ১৯৮৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি ২০১৪ সালে একবার ধসে পড়েছিল। তখনো বেশ কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
রামু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী সেতু দেখবার করে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী সেতুগুলো হলো, বাকঁখালী রেঞ্জের পাশের বেইলী সেতু ,মইশকুম বেইলি সেতু,জারুলিয়াছড়ি বেইলি সেতু, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বেইলি সেতু এবং গর্জনিয়া বাজারের পাশের বেইলি সেতুটি।
রামু – নাইক্ষ্যংছড়ি -১১ কিলোমিটার সড়কটি স্বাধীনতার ৫১ বছরেও সম্প্রসারণ হয়নি। তাই চরম দুর্ভোগে রয়েছে এই পথে চলাচল করা ৬টি ইউনিয়নের মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজুর ইসলাম, সরওয়ার আলম সহ আর কয়েকজন বলেন, আমরা গর্জনিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি, দুছড়ি সহ ৬টি ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘ কয়েক যুগ ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে যাতায়াত করছি। যেমন রাস্তা খুব ছোট, তেমন এই সড়কের প্রতিটা বেইলী সেতুও প্রায় অকেজো। তাদের দাবি, এই ঝুকিপূর্ণ রাস্তা ও সেতুগুলো দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।সেকারণে এখানে ৫ টনের অধিক মালামাল নিয়ে গাড়ি আসতে পারেনা। তাই দিন দিন এখানকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অতিরিক্ত। তারা আরও বলেন, দ্রুত রামু – নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক ও সড়কের ঝুকিপূর্ণ বেইলী সেতুগুলো যেন মেরামত বা পুনরায় নির্মাণ করা হয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, এই সড়ক ও বেইলী সেতুগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের সাথে সাম্প্রতিক যোগাযোগ করা হলে, তারা আশার বাণী শুনিয়েছেন। আমাদের দাবি দ্রুত এ সড়ক ও সেতুগুলো যেন সংস্কার করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ে এই সড়কের ৫টি ঝুকিপূর্ণ পুরোনো বেইলী ব্রিজ পুনরায় নির্মাণ করতে হবে। এই সড়কের বেইলি ব্রিজগুলোর দু’পাশ ও পূর্বাংশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক, এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে কয়েক হাজার।
এদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দীন চৌধুরী বলেন বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঝুকিপূর্ণ বেইলী সেতুগুলো পরিদর্শন করেছে। তারা শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট জমা দিলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, এই বেইলী সেতুগুলো দ্রুত সময়ে নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
স্থানীয়দের দাবী দ্রুত সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী সেতুগুলো যেন পুর্ন:নির্মাণ করা হয়।